ঈদে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে সহস্রাধিক বন্দি পেয়েছেন পোশাক


এবারের ঈদে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সব বন্দিকে নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে। পুরুষ বন্দিরা পেয়েছেন পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টুপি ও তসবিহ। নারীরা শাড়ি ও থ্রিপিস। নারীদের সঙ্গে থাকা তাদের শিশুসন্তানদেরও দেওয়া হয়েছে ঈদ উপহার। এর মধ্যে ছেলে শিশুদের (২) শার্ট-প্যান্ট আর এক মেয়ে শিশুকে দেওয়া হয়েছে ফ্রক।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন এক হাজার ২১৩ জন (২৯ মার্চ)। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১৬৮ এবং নারী ৪৫ জন। বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত (কয়েদি) ৭০৫ জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী রয়েছেন। আর হাজতি রয়েছেন ৪৬৩ পুরুষ আর ১০ নারী।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরের অংশে সাজানো হয়েছে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ পতাকা দিয়ে, পরিষ্কার করা হয়েছে রাস্তাঘাট ড্রেন। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে কারাগার অভ্যন্তরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেখানেও সাজানো হয়েছে লাল, নীল কাগজ দিয়ে। এমনই তথ্য দিলেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম।
জেলার বলেন, ‘কারাগার অভ্যন্তরে একটি বড় খেলার মাঠ রয়েছে। সেখানেই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করার জন্য বাইরে থেকে প্রতি বছর একজন হুজুরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
‘এবারের ঈদে বন্দিদের জন্য সকাল দুপুর ও রাতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সকালের নাশতায় থাকবে পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে পোলাও ভাতের সঙ্গে গরুর মাংস। যারা গরুর মাংস খান না তাদের জন্যে খাসির মাংস। তা ছাড়া মুরগির রোস্ট, সালাদ, মিষ্টি এবং পান-সুপারি থাকছে। রাতে সাদাভাত, রুই মাছ ও আলুর দম।’
জেলার আরও বলেন, ‘বন্দিদের জন্যে স্বাভাবিক যে বরাদ্দ থাকে তার সঙ্গে অতিরিক্ত মাথাপিছু দেড়শ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’
মেয়েদের সেখানে ঈদের জামাতে নামাজ পড়ার কোনও অপশন নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত তারা ওয়ার্ডেই নামাজ পড়েন। তবে, এবার ঈদ উপলক্ষে মেয়েদের সাজগোজের জন্য কেনা হয়েছে মেহেদি, আলতা ইত্যাদি।
‘বন্দিদের জন্য নতুন কাপড়-চোপড় রোটারি ক্লাব ও আদ্ দ্বীন থেকে পাওয়া গেছে। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বন্দিদের মাঝে ইতোমধ্যে পোশাকগুলো বিতরণ করেছেন।’
ঈদের দিন বিশেষ আসামি ছাড়া সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারা-অভ্যন্তরে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ, দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন। ঈদের পরের দিন আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি থেকে রান্না করে আনা খাবার বন্দিদের দিতে পারবেন।