বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

পিরোজপুরে জমিজমা ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আবু সালেহ নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতিপক্ষের অস্ত্রের কোপে নিহতের ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেলের একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আবু সালেহ ও রুবেল পাতলাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে। আহত রুবেলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আবু সালেহের বোন আফসানা মিমি বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম সুমন, রুম্মান, নজরুল ইসলাম বাবুল চৌকিদার, নান্না, লিটন, মিরাজ, সবুজ, মাসুম শরিফসহ অনুমান ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে ভাই আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবশে করে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে বড় ভাই আবু সালেহ, তার স্ত্রী মোসা. সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে সন্ত্রাসীরা আবু সালেহকেও কুপিয়ে জখম করে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রাখে।’

নিহত আবু সালেহর স্ত্রী সোনালী আক্তার বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম, রাতে আমার দেবর রুবেলের চিৎকার শুনে আমার স্বামী ও আমি ঘরে থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি, সুমন ও আরও লোকজনে রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়ে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরে ঢুকে ১ লাখ টাকা ও ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের বিভিন্ন অলঙ্কার নিয়ে যায়।’

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ ও রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে আবু সালেহর মৃত্যু হয়।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ আনওয়ার বলেন, ‘এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রেক্সোনাকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’