শীতের আগমনী বার্তায় তিতুমীর কলেজে হিমেল ছোঁয়া
হেমন্ত নাকি শীত—বুঝে ওঠা কঠিন। বাতাসে শীতের ঠান্ডা হাওয়া ছড়িয়ে পড়লেও গাছের পাতায় এখনও কুঁড়ি ধরা বাকি। তাহলে শীত কিভাবে এলো, বলো দেখি? ধীরে ধীরে নামছে শীতের হিমেল ছোঁয়া। ঢাকার অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সরকারি তিতুমীর কলেজেও এখন শীতের আগমনী বার্তা স্পষ্ট। সকালবেলা ক্লাসে যেতে যেতেই বোঝা যায়—বাতাসে এসেছে ঠান্ডার স্পর্শ, রোদের উষ্ণতায় মিশে আছে এক মিষ্টি প্রশান্তি।
ভোরের দিকে কলেজ মাঠে ছেয়ে থাকে কুয়াশার চাদর। দূর থেকে মনে হয়, যেন সাদা ধোঁয়ায় মোড়া পুরো ক্যাম্পাস। তিতুমীর কলেজের বিশাল গাছপালার পাতায় জমানো শিশিরে সূর্যের আলো পড়তেই তা ঝিলমিল করে ওঠে।
প্রশাসনিক ভবনের পাশে কিংবা গণিত বিভাগের আড্ডার টেবিলে এখন গরম চায়ের কাপ হাতে গল্পে মগ্ন শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। চায়ের দোকানদাররাও যেন ব্যস্ততায় খুশি—চা আর বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ হারে। দুপুরবেলায় রোদের উষ্ণতায় বেঞ্চে বসে গল্প করা, ক্লাস শেষে মাঠে হাঁটাহাঁটি—সবকিছুর মধ্যেই এখন এক ধরনের নীরব প্রশান্তি।
তিতুমীর কলেজের শীত মানেই এক আলাদা আনন্দ। সকালবেলার কুয়াশা, গরম চা, মাঠের রোদ আর আড্ডায় ভরা বিকেল—সব মিলিয়ে যেন এক অন্যরকম ঋতুর উৎসব। শীত আসছে, সবাই জানে; কিন্তু তার আগমনী বার্তাই যেন তিতুমীর কলেজের প্রতিটি কোণায় আজ নতুন উচ্ছ্বাসের নাম।
ভোরবেলা মাঠে দাঁড়ালে মনে হয়, প্রকৃতি যেন নতুন রঙে সেজেছে। পাতা থেকে ফোঁটা ফোঁটা শিশির পড়ে, ঘাসে হাঁটলে জুতো ভিজে যায়। এমন পরিবেশ যেন পড়াশোনার ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর করে দেয়।
প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, “আকাশে হালকা কুয়াশা, বাতাসে ঠান্ডার ছোঁয়া—প্রকৃতি ধীরে ধীরে জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমন। সকালবেলার শিশিরভেজা ঘাস, রোদে ঝলমলে পাতা আর চায়ের কাপে ধোঁয়া ওঠা সুবাস যেন মনকে ছুঁয়ে যায়।”
শীত মানেই উষ্ণতার খোঁজ, পিঠা-পায়েসের আমেজ আর মনের গভীরে এক শান্ত প্রশান্তি। শীত মানেই নতুন করে বেঁচে ওঠার অনুভূতি। শীতের আগমনী হাওয়ায় চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঠান্ডা স্পর্শ, কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সকালবেলা—আর মনের ভেতর যেন বাজতে শুরু করেছে সেই পরিচিত ঘণ্টা: “শীত এসে গেল, শীত এসে গেল।”
লেখক: শিক্ষার্থী, প্রথম বর্ষ, তিতুমীর কলেজ।
