এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ


বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম থাকা সত্ত্বেও যাত্রী সেবায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, এবার ৭১ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে হুইলচেয়ার সুবিধা না দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। লায়লা হুসেইন, যিনি ১০ জুলাই ঢাকা থেকে জেএফকে যাচ্ছিলেন এমিরেটসের (টিকিট নম্বর ১৭৬৭২১৬৪২৩৮৬৫) ফ্লাইট EK587 (সিট ১১ এইচ) ও EK205 (সিট ৪৭ সি)-এ, ঢাকা বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার সুবিধা পেলেও দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ক্রুদের জানানো সত্ত্বেও প্রতিশ্রুত হুইলচেয়ার পাননি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এমিরেটসের গ্রাউন্ড স্টাফ তাকে “অল্প হাঁটতে” বললেও দীর্ঘ পথ হাঁটার পরও কোনো হুইলচেয়ার সহায়তা পাননি। দুবাই ট্রানজিটের সময় তাকে অন্য টার্মিনালে ট্রেন নিতে হলেও কোনো সহায়তা দেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। মিলান বিমানবন্দরে EK205 ফ্লাইটের দুই ঘণ্টার ট্রানজিটের সময় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। যেখানে সাধারণত জেএফকে-গামী যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে হয় না, সেখানে সব যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়, কিন্তু কোনো আসন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
লাইলা হুসেইন বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারণে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন এবং এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনায় বিমানের অন্য যাত্রীরাও বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, “কীভাবে এমিরেটসের মতো একটি এয়ারলাইন্স দুই ঘণ্টা ধরে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে রাখতে পারে এবং কোনো সহায়তা দিতে পারে না?” নিউইয়র্কে বসবাসরত তার মেয়ে ইশরাত জাহান দুবাইয়ে এমিরেটস কাস্টমার সার্ভিসে মায়ের জরুরি সহায়তা চেয়ে যোগাযোগ করলে তিনি “সংবেদনশীলতার অভাব” লক্ষ্য করেন। তিনি জানান, এমিরেটসের একজন এজেন্ট তাকে বলেন, “তারা সাহায্য করতে পারবে না কারণ তিনি এখন মিলান বিমানবন্দরে নেই এবং কেন এই টিকিট কিনেছেন।