টেলিকম খাতে বিদেশি স্বার্থ রক্ষার অভিযোগ
দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে দেশি বিনিয়োগ সুরক্ষিত না করে বিদেশি স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। পাশাপাশি এ বিষয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই’ বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
তবে প্রয়োজনে আইনি পথে অধিকার আদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে টেলিকম ও টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তারা।
সভায় টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের আলোকে তৈরি চারটি গাইডলাইনে বিদেশি বিনিয়োগ এবং টেলিকম অপারেটরদের স্বার্থ সুরক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশের টেলিকম উদ্যোক্তাদের মতে, এতে একমাত্র বিদেশিদেরকেই ক্রসকাটিং লাইসেন্সিং সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় উদ্যোক্তারা প্রত্যাশা করেন, সরকার নিজ থেকেই এই সংকটের সমাধান করবে।
সভায় উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে মাসুদ কামাল বলেন, ‘নির্বাচিত সরকারের দিকেই তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই।’
অন্যদিকে, দেশে প্রাইভেট সাবমেরিন ক্যাবল আসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম। তিনি বলেন, অথচ প্রাইভেট সাবমেরিন ক্যাবল দেশে এলে এখন যেসব ইন্টারনেট প্যাকেজ আমরা গ্রাহককে দিচ্ছি, তখন দ্বিগুণ দেওয়া সম্ভব, এখনকার দামেই।
সভায় বক্তারা সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সেই ধারাবাহিকতায় সংস্কার শুরু হয় টেলিযোগাযোগ খাতে। কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের সংস্কার না করে টেলিযোগাযোগ খাতকে কেন জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হলো?
তবে সরকারি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে দেশীয় উদ্যোক্তারা শেষ পর্যন্ত ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন।
গাইডলাইনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে তারা জানান, স্টারলিংকের মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে ১২ লাখ টাকা, যেখানে দেশীয় আইএসপি প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫ লাখ টাকা।
এছাড়া জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইসেন্সের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি। আইনের এমন দিকগুলো নিয়ে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, মূলত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুবিধা দিতেই এই ব্যবস্থা।
