সাবিনাদের একুশে পদক নিয়ে বিপাকে বাফুফে


এ বছর একুশে পদকের জন্য মনোনীত হওয়া বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাফুফের কাছে ১১ জনের নাম চেয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এ চিঠি পেয়ে বাফুফের মাথায় হাত। ২৩ সদস্যের স্কোয়াড থেকে তারা কোন ১১ জনকে পাঠাবে পদক গ্রহণের জন্য? এ বিষয়ে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের প্রধান বাফুফে সদস্য টিপু সুলতান বলেছেন, ‘ফিফা গাইডলাইন অনুযায়ী কন্টিনজেন্ট থাকে ৩২ জনের। তার মধ্যে টিম স্কোয়াড থাকে ২৩ জনের। ফুটবল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স শো-করার বিষয় না। এটা পুরোপুরি টিমওয়ার্ক।’
‘খেলোয়াড়রা যে যার অবস্থান থেকে তার মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সাফল্য এনেছে। এ কারণে আমার মনে হয়, যদি উপদেষ্টামন্ডলী থেকে আরেকবার চিন্তা করেন, ভেবে দেখেন। পুরো স্কোয়াডকে যদি দেওয়া হয় তাহলে তারা সম্মানবোধ করবেন। দেশের জন্য ১১ জন সফলতা এনে দিয়েছেন তেমন না। পুরো দলেরই আছে এই কৃতিত্ব।’
যদি শেষ পর্যন্ত ১১ জন খেলোয়াড়ের নামই পাঠাতে হয়, তাহলে কোন ১১ জন যাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে টিপু সুলতান বলেন, ‘এখানে জটিলতা রয়েছে অবশ্যই। আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষ প্রথম একাদশ নিয়েই চিন্তা করেছে। পুরো স্কোয়াড হলে সবাই আনন্দিত থাকবেন। অন্য মেয়েরাও তো খেলেছেন। সবাই তো আশায় ছিলেন। আমাদের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করছেন।’
এমনিতেই সাফজয়ী ফুটবলারদের বেশিরভাগ সদস্যকে বাইরে রেখে ৩৬ জনের সাথে চুক্তি করে বাফুফে একটি বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এখন যদি ১১ জন ফুটবলারের নামই পাঠাতে হয় সেক্ষেত্রে বাফুফের পছন্দ কী হবে, সেটাও বড় প্রশ্ন। বিদ্রোহ করার অভিযোগে সাবিনাদের আরেকবার সাইজ করার সুযোগই কি কাজে লাগাবে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি? নাকি সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়ে ২৩ ফুটবলারকে পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিতে পারবেন বাফুফে কর্মকর্তারা?