হেরে ক্ষেপে গেলেন তামিম!
রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে বরিশালের হাত থেকে জয়টি ছিনিয়ে নিয়েছেন। বরিশালের ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসার কাইল মায়ার্সের করা ওভারের ৬ বলে ৬ বাউন্ডারি (৩ ছক্কা ও ৩ চার) হাঁকিয়ে রংপুরকে উপহার দিয়েছেন অবিশ্বাস্য এক জয়।
জেতা ম্যাচ হারের পর অধিনায়কদের মেজাজ খিটখিটে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল হয়তো মেজাজ দেখানোর মতো একটি উপলক্ষ্যও পেয়ে গেছেন ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই।
ম্যাচ শেষে রংপুরের ড্রেসিংরুমে থাকা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে তামিমকে। তবে কার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ালেন তিনি, সেটি স্পষ্ট দেখা যায়নি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রংপুরকে ম্যাচ জেতানো সোহানও। পরে তিনিই তামিমকে সরিয়ে নেন এবং শান্ত করার চেষ্টা করেন।
যদিও তামিমকে পুরোপুরি নিবৃত্ত করতে পারেননি সোহান। অবশেষে বরিশালের এক টিম ডিরেক্টর বাঁহাতি ব্যাটারকে সরিয়ে নেন। কী কারণে আসলে তামিম এতটা ক্ষিপ্ত হলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তার কারণ জানা যায়নি।
প্রশ্নটি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনের জন্য তুলে রাখেন সাংবাদিকরা। সময় মতো বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবালের উদ্দেশে প্রশ্নটি ছুড়ে দেওয়া হয়। জবাবে তামিমের বড় ভাই বলেন, ‘ম্যাচ হারলে ইমোশনটা থাকে, সিরিয়াস কোনো কিছু নয়।’
একই প্রশ্ন করা হয় সোহানকেও। জবাবে রংপুর অধিনায়ক বলেন, ‘এটা আমি কাছ থেকে দেখিনি। যাওয়ার পর বুঝতে পারবো, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে।’
বরিশাল ও রংপুরের ম্যাচ ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। কিন্তু সোহান নিলেন ৩০ রান।
এর আগে সোহানের দোষের কারণে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আউট হয়েছেন শেখ মেহেদী। বরিশালের পাকিস্তানি বোলার জাহানদাদ খানের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন মেহেদী। পাক পেসার ক্যাচ নিলে তাকে বাধা দেন সোহান। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ দেখার পর মেহেদীকে আউট ঘোষণা করেন অনফিল্ড আম্পায়াররা।
অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড সম্পর্কিত আইসিসির ৩৭.৩ ধারায় বলা আছে, যেই ক্রিকেটারই বাধা দিক, আউট হবেন স্ট্রাইকে থাকা ক্রিকেটার।