শুক্রবার দেশে তীব্র গ্যাস সংকট হতে পারে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম
শুক্রবার দেশে তীব্র গ্যাস সংকট হতে পারে

শুক্রবার থেকে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি বন্ধ থাকার কারণে গ্রাহকরা আবারও তীব্র গ্যাস সংকটে পড়তে পারেন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মহেশখালীতে এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তবে এই সময়ের মধ্যে আরেকটি এফএসআরইউ দৈনিক ৫৫০ থেকে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। তবে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশের কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে।

কর্মকর্তারা জানান, দুটি এলএনজি টার্মিনালের মোট সক্ষমতা ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি। একটি বন্ধ রাখার ফলে সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসবে, যা সারা দেশে তীব্র সংকটের সৃষ্টি করবে।

বর্তমানে দেশে এমনিতেই ১১০০ থেকে ১২০০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে, যা প্রায় ৩৯০০-৪০০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করতে সক্ষম।

এর আগে একই এফএসআরইউ ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। ফলে সরবরাহ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছিল। ফলে ঢাকা শহরসহ সারা দেশের অনেক এলাকার ভোক্তারা চরম সংকটে পড়েছিলেন।

গ্যাসের অভাব বা চাপ কম থাকায় অনেককেই খাবার রান্নার জন্য এলপিজি বা বৈদ্যুতিক ওভেন ব্যবহারের মতো বিকল্প ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। মেরামত কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ জানুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহের উন্নতি শুরু হয়। তবে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবারও এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম স্থগিত হতে যাচ্ছে।