ইতিহাস গড়ে যা বললেন সাকিব


ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে গেছেন। কিন্তু প্রথম পাঁচ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে সেভাবে বোলিংই দেওয়া হয়নি। চার ইনিংসে মাত্র ৫ ওভার বল করার সুযোগ পান একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিতে পারেন কেবল একটি উইকেট। সেই সাকিবই নিজের ষষ্ঠ ম্যাচে এসে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়ে ম্যাচসেরা। বয়সটা ৩৮ হয়ে গেলেও নিজেকে মেলে ধরার ক্ষুধাটা যেন এখনও মেটেনি।
রোববার রাতে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরইসঙ্গে গড়েছেন আরেক কীর্তি।
ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৭ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের ‘ডাবল’ রেকর্ড গড়েছেন সাকিব।
ক্যারিয়ারে এত বড় অর্জন। ইতিহাস গড়ে সাকিব বললেন, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। অনেক লম্বা ক্যারিয়ার... যা অর্জন করতে পেরেছি, আমি খুশি।’
আগের ম্যাচগুলোতে সেভাবে বোলিং পাননি। সাকিবের কণ্ঠে যেন একটু আক্ষেপ ঝরে পড়লো, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমি বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় কিছুটা নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করি। তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই আমার সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব।’
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে সাকিব বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখার সময় অবশ্যই দারুণ অনুভূতি হয়, বিশেষ করে যখন আপনি দলকে জিততে সাহায্য করেন। এটি আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেয়, তাই আশা করি আমি এটি ধরে রাখতে পারব। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আসছে। ক্রিকেট প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। দশ বছর আগের তুলনায় এটি অনেক দ্রুত গতিতে চলছে, তাই উন্নতি এবং তেমন মানসিকতা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।’
এটি ছিল সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৪৪তম ম্যাচসেরার স্বীকৃতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলকে ছুঁয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের চেয়ে বেশিবার ম্যাচসেরা হয়েছেন কেবল চারজন।
এদিকে সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছে তার পরিবারের সদস্যরাও। তার মতে, পরিবার কাছে থাকলে অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
সাকিব বলেন, ‘পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে... তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। তাদের এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। তো এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।’