হজযাত্রীদের যে ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করলো সৌদি আরব

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
হজযাত্রীদের যে ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করলো সৌদি আরব
ছবি : সংগৃহীত

২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রী ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ বছর টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা যাচাই আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও ইয়েলো ফিভার, এই চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই টিকাগুলো না নিলে কোনো হাজি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ টিকা অবশ্যই সৌদি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং যাত্রার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে তা সম্পন্ন করতে হবে।

মেনিনজাইটিসের টিকা পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, তবে সৌদিতে প্রবেশের কমপক্ষে দশ দিন আগে নিতে হবে।

পোলিও নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর হাজিদের টিকা হজযাত্রার অন্তত চার সপ্তাহ আগে নিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক টিকা সনদে তা উল্লেখ থাকতে হবে।

ইয়েলো ফিভারের টিকা সব দেশের হজযাত্রীদের নয় মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব যাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। প্রধান অঙ্গ বিকল হওয়া রোগী, জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, ক্যানসারের চলমান চিকিৎসায় থাকা রোগীকে গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হজের মতো শারীরিকভাবে পরিশ্রমসাপেক্ষ ইবাদতের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হজ করতে ইচ্ছুকরা নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন না করলে তাদের সৌদি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখা বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য মূল্যায়নও করা হবে।

সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত কয়েক বছরের হজ আয়োজন এবং বৈশ্বিক মহামারির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই নতুন নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। বৃহৎ জনসমাগমে সংক্রমণ ও চিকিৎসাজনিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য। সৌদি মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রত্যেক হাজি নিরাপদ, সুস্থ ও নির্বিঘ্নে হজ পালন করুন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সূত্র : দ্য ইসলামিক  ইনফরমেশন