বাংলাদেশ কারও তালুকদারী নয়: মির্জা আব্বাস


‘বাংলাদেশ কারেও তালুকদারী নয়’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছি গণতন্ত্রের জন্য, কথা বলার জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য। আজকে যখন ভোটে সময়ে আসছে এখন বলেন, এটা না করলে ভোট হবে না, ওটা না করলে ভোট হবে না… কেন রে ভাই কেন?’
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে শাহজাহানপুর বিএনপির এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় নির্বাচন বিলম্ব নিয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে ইঙ্গিত করে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো দেশটাকে বাপের তালুকদারী ভেবেছিল— যার কারণে যা খুশী তাই হয়েছে। আপনারও কি তাই ভাবেন? এই বাংলাদেশ কারও তালুকদারী নয়। এই বাংলাদেশ জনগণের। সুতরাং, কথাবার্তা বলার সময়ে হিসাব করে বলবেন। যাতে আমাদেরকে বেহিসাবী কথা বলতে না হয়।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনেকের ভেতরে কিছু লোভী রাজনীতিবিদ আছেন, কিছু লোভী রাজনৈতিক দল আছে, যারা শুধুমাত্র বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করে। কার্য্কর কোনও বিরোধিতা নয়। এই দলগুলো পাকিস্তান সৃষ্টির লগ্ন থেকে ভারত বিভক্তি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শুধু বিরোধিতাই করে গেলো। দেশপ্রেমের লেশমাত্র তাদের ভেতরে নাই। তারা দেশকে ভালোবাসে না, দেশের মানুষকে ভালোবাসে না।’
‘তারা ভালোবাসে যেভাবে হোক ক্ষমতায় থাকতে হবে, যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যেতে হবে। আমাদের তো আপত্তি নেই— দেশে যদি ভোটের মাধ্যমে আপনাদের ক্ষমতায় নেই, আপত্তির কী আছে? ভোটে আসেন। ভোটকে ভয় পান কেন? নির্বাচনকে ভয় পান কেন?’
নির্বাচনের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দলগুলো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘যারা লম্বা লম্বা কথা বলেন আজকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, তারা বুকে হাত দিয়ে বলেন— এই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আপনাদের ক’জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন? বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন, শহীদ হয়েছেন এক মাসে। আপনাদের কজন হয়েছে?’
রাজধানীর ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে শাহজাহানপুর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবের মাঠে বিএনপির উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়।