তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন
সংবর্ধনার মঞ্চ প্রস্তুত, অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নেতাকর্মীরা
দীর্ঘ নির্বাসন শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমানও ফিরছেন বলে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় এক বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে ৩০০ ফিট এলাকা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ ব্যানার, ফেস্টুন এবং তোরণে ছেয়ে গেছে।
সংবর্ধনা মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে। ৪৮ ফুট দীর্ঘ ও ৩৬ ফুট প্রশস্ত এই বিশাল মঞ্চের মূল কাঠামোর কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। পুরো এলাকায় মাইক স্থাপনের পাশাপাশি আলোকসজ্জার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
নিরাপত্তার খাতিরে পুরো এলাকাটি বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) নিবিড়ভাবে তদারকি করছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
দলীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান সরাসরি ৩০০ ফিটের সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে উপস্থিত লাখো নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিতে পারেন।
এরপর তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তাঁর অসুস্থ মা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। সেখান থেকে দিনশেষে তিনি গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'য় যাওয়ার কথা রয়েছে।
তারেক রহমানের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। কুড়িল ও পূর্বাচল এলাকায় স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলছেন আগত জনতা।
কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে লাইভ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনেও বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। বিশালাকার সব পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতে, তারেক রহমানের এই ফেরা কেবল একজন নেতার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এটি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন এক উদ্দীপনার সৃষ্টি করবে।