বিএনপির ৬৩ আসন খালি রাখার নেপথ্য
                                
                                                                    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার (৩ নভেম্বর) নির্বাচনী প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নির্বাচনের ৩০০ আসনের বিপরীতে ২৩৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি।
৬৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। আর তাতেই জেগেছে বড় এক প্রশ্নের। পুরো ৩০০ আসনে প্রার্থীতা দেয়ার সক্ষমতা থাকার পরও কেন ৬৩ আসন খালি রেখেছে দলটি সেটিই এখন রীতিমত টক অব দ্য টাউন।
বিএনপির এই আসন খালি রাখাটা মূলত তাদের একটি রাজনৈতিক চাল। ধারণা করা হচ্ছে, যে ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি, তার একটি বড় অংশ মিত্র দল ও জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই যেসব প্রভাবশালী নেতার নাম
দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে দলটি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দলের জন্যই কয়েকটি আসন খালি রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে কেবল মিত্রদের জন্যই নয়, কিছু আসনে স্থানীয় পর্যায়েও একাধিক প্রার্থী নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এসব এলাকায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও প্রার্থিতা নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় এখনই প্রার্থী চূড়ান্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক নেতা।
আরও পড়ুন: ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন যে ৯ নারী
তবে মিত্র দলের জন্য যে আসন ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেটি অকপটেই স্বীকার করেছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রার্থীদের নাম ঘোষণাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘যেসব আসন এখনো ফাঁকা রয়েছে, সেসব আসনে আমাদের দলের নেতা কিংবা মিত্রদলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ঘোষিত প্রার্থী তালিকাতেও পরিবর্তন আসতে পারে।’
এখন পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়া আসনগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১ ও ৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ২ ও ৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২ ও ৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪ ও ১০, কিশোরগঞ্জ-১ ও ৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ৯, ১০, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২০, গাজীপুর-১ ও ৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২ ও ৪, সিলেট-৪ ও ৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৬, কুমিল্লা-২ ও ৭, লক্ষ্মীপুর-১ ও ৪, চট্টগ্রাম-৩, ৬, ৯, ১১, ১৪ ও ১৫ এবং কক্সবাজার-২।
