ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক গড়বে জামায়াত: আমির

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ পিএম
ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ক গড়বে জামায়াত: আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে। তিনি বলেন, “মানুষ নিজের জায়গা বদলাতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশী বদলাতে পারে না। আমরা প্রতিবেশীকে সম্মান করতে চাই এবং একইভাবে তাদের কাছ থেকেও সম্মান আশা করি।”

বুধবার (২২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিন নিউইয়র্কে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘বাংলাদেশের চেয়ে ভারত আয়তনে ২৬ গুণ বড় দেশ। তাদের সম্পদ, জনশক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি। আমরা তাদের অবস্থান বিবেচনায় সম্মান করি। তবে আমাদের ছোট ভূখণ্ড ও প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অস্তিত্বকেও তাদের সম্মান করতে হবে। দিস ইজ আওয়ার ডিমান্ড। যদি তা হয়, তাহলে দুই প্রতিবেশী শুধু ভালোই থাকবো না; বরং এক প্রতিবেশীর কারণে অন্য প্রতিবেশীও বিশ্ব দরবারে সম্মানিত হবে।’

ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত প্রায় দেড় বছরে কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই আমরা এর জবাব দিয়েছি। একটা বিষয় একেবারে পরিষ্কার করতে চাই, গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অভিবাসন ঘটেছে, মুসলমানদেরও। আমরা জোর করে কোনও কিছু বন্ধের পক্ষে নই, আবার জোর করে কাউকে দেশ থেকে তাড়ানোর পক্ষেও নই।’

তিনি আরও বলেন, “আমরা মেজরিটি ও মাইনোরিটি ধারণায় বিশ্বাস করি না। আমরা বলি ‘উই নিড ইউনিটি’। মেজরিটি-মাইনোরিটি বলা মানেই বিভাজন তৈরি করা, যা একদল অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড় করায়। গত ৫৪ বছর ধরে আমরা এর ভয়াবহতা দেখেছি। আমরা আর তা দেখতে চাই না।”

ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার ভিত্তিতে যুগের পর যুগ আমরা মিলেমিশে বসবাসের যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছি, সেটিকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে কয়েকটি কালো দাগ পড়েছে, সেগুলো উপড়ে ফেলবো ইনশাআল্লাহ, যাতে দল ও ধর্মের বিভাজনে জাতি আর বিভক্ত না হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনুভব করি, কেউ যদি গত ৫৪ বছরে অন্য কারও সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে থাকে এবং তার প্রমাণ থাকে, তবে আমরা সেই সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার পক্ষে- এটিই আমাদের অবস্থান।’

যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির কোনও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এই প্রশ্নটির উত্তর বৃহত্তর স্বার্থে আপাতত এড়িয়ে যাচ্ছি।’

সভায় নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।