‘এটা জুলাই সনদ স্বাক্ষর নয়, রাজনৈতিক মিলনমেলা’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
‘এটা জুলাই সনদ স্বাক্ষর নয়, রাজনৈতিক মিলনমেলা’
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জুলাইযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার শহিদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনের পর প্রতিক্রিয়া জানান তিনি

সারজিস আলম বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর করার যে অনুষ্ঠান, সেখানে প্রধান অতিথিদের কাতারে বা সামনের সারিতে জুলাইযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সেটি রাজনৈতিক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সেখানে জুলাইযোদ্ধা বা শহিদ পরিবারের জন্য কোনো মর্যাদার আসন বা বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের সময় পুলিশ যেভাবে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছেসেটা খুবই অপ্রত্যাশিত এবং দুঃখজনক। জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এর জবাব কিভাবে অন্তর্বর্তী সরকার দেবে, এর দায় কিভাবে তারা নেবে-এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে নেওয়া উচিত।

এ সময় উপদেষ্টাদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, অনেকে তার জায়গা থেকে যতটুকু পসিবলে কাজ করার চেষ্টা করছেন। অনেকে হয়তো নতুন ওয়ার্ক করার চেষ্টা করছেন। সার্বিকভাবে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল ততটুকু হচ্ছে না। হচ্ছে না বলেই তো আজকে জুলাই সনদে সকল রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করতে যায়নি। সবার ইচ্ছা ছিল বলেই তো ঐক্যমত্য কমিশন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন তারা মিটিং করেছে। কিন্তু সবার ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ক্লিয়ার না করে যখন তাড়াহুড়া করে জাস্ট দায়সারাভাবে স্বাক্ষর করানো হচ্ছে। যে কারণে আমাদের মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার আসলেই জনগণের আকাঙ্ক্ষার নিরাপত্তা না দিয়ে নিজেদের সেফটির কথা বারবার ভাবছে। কিভাবে দায়সারাভাবে সুলাই সনদ পার করা যায়, নির্বাচনের দিনটাতে যাওয়া যায়-তারা সেটা নিয়েই চিন্তিত।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ নিয়ে দায়সারাভাব দেখিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একদম স্পষ্ট অবস্থান জানিয়েছি। আমাদের আহ্বায়ক আগে বলেছিলেন যে, আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি। কিন্তু পরে দেখলাম জুলাই সনদ নাম কা ওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে।

কোনো কার্যকারিতা দেখছি না আমাদের জায়গায় থেকে। এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সনদের ক্ষেত্রে যদি এরকম হয় তাহলে কিছুদিন পরে দেখা যাবে অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পরে দেখা যাবে এই অভ্যুত্থানের যারা যোদ্ধা ছিল, রাজপথে নেমেছিল, তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দায় তাদেরকে অভিযুক্ত করে একেকজনকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দেওয়া হবে। বিভিন্নভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই কাজগুলো তারা করবেআমাদের নিরাপত্তার ওই জায়গাটা স্পষ্টভাবে থাকতে হবে জুলাই সনদেতখনই আমরা আমাদের এই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার কথা চিন্তা করবযেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার আবারও দায়সারা ভাব দেখিয়েছে, এ জন্য আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করিনি