বিএনপির এক নেতাকে আরেক নেতার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ


সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আলমাছ মণ্ডলকে (৫৫) একই কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ময়নাল ইসলাম ক্বারী প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ময়নাল ক্বারীকে প্রধান করে সাতজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী আলমাছ মণ্ডল। অভিযুক্ত ময়নাল ইসলাম ক্বারী একই উপজেলার খাষপুকুরিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত হারান প্রামাণিকের ছেলে।
সাধারণ ডায়েরিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন আলমাছ মণ্ডল। এ সভায় অংশ নেওয়ায় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ময়নাল ইসলাম ক্বারীর সমর্থক জামাল সেখের মুঠোফোন থেকে আলমাছ মণ্ডলকে প্রাণনাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। ফোনে বলা হয়, আমি (আলমাছ মন্ডল) যেন মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের নির্বাচনি প্রচারণা না করি। তার প্রচারণা করলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, ময়নাল ইসলাম ক্বারী বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আমীরুল ইসলাম খান আলীমের সমর্থক। কেন্দ্রীয় নেতার সমর্থক হওয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তিনি উপজেলাজুড়ে একক আধিপত্য বিস্তারে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। অপরদিকে আলমাছ মণ্ডল বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের সমর্থক। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানান তারা।
ভুক্তভোগী আলমাছ মণ্ডল বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ নিয়ে বিএনপির রাজনীতি করি। অথচ আমি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলাম বলে আমায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। নিজ দলের নেতারা যদি প্রাণনাশের হুমকি দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? আমি কোনো উপায় না পেয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জিডি করেছি।
এদিকে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ময়নাল ইসলাম ক্বারী বলেন, আমরা দুজন একই দলের হলেও আমি আব্দুল আলীমের সমর্থক আর উনি (আলমাছ) মঞ্জুর কাদেরের সমর্থক। এটা ছাড়া তার সঙ্গে আমার অন্য কোনো বিরোধ নেই। তবুও সে আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক জাগো নিউজকে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।