রংপুরে আরও তিনজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত


রংপুরের কাউনিয়ায় দুইজন ও মিঠাপুকুর উপজেলায় একজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে পীরগাছা উপজেলায় আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে কৃষক ইব্রাহিম মিয়ার একটি গরু অসুস্থ হয়। পরে সেটি জবাই করা হলে আশপাশের লোকজন মাংস কাটাকাটি করেন। ঘটনার দুই দিন পর স্থানীয় সোহরাব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মনির হোসেন ও মজিবর রহমানসহ কয়েকজন চর্মরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। পরে এদের মধ্যে একজন অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া কাউনিয়া উপজেলায় আরও দু’জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে হঠাৎ করে পীরগাছায় একের পর এক গবাদি পশুর মৃত্যু হতে থাকে। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের। পরে রোগের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পীরগাছায় গিয়ে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে আটজনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়। পরে আরও আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইসিডিআরে পাঠানো হয়।
চিকিৎসকরা জানান, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ রোগ গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়, তবে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। মানুষের শরীরে এ রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে চামড়ায় ঘা সৃষ্টি হওয়া। এজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগকে গরু-ছাগলের প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।