বাংলাদেশের সব জনগণ এখন নির্বাচনমুখী: সালাহ উদ্দিন


জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, এতে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তারাই রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল জনগণ এখন নির্বাচনমুখী, বাংলাদেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে, আবহাওয়া চলছে। সকল প্রার্থীরা, সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবং জনগণ ভোটে জনসংযোগে আছে। এই অবস্থায় কোনও দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে তাদের প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।’
কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করবার চেষ্টা করছে, দেশের ভেতরে ও বাইরে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া, তাতে বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে সেটা দৃশ্যমান। এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে, দেশী-বিদেশী শক্তি সক্রিয় সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ সংকল্পবদ্ধ। এ দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করবে এবং কোনও রকমের ষড়যন্ত্র করবে সেটা দেশি হোক, বিদেশি হোক তাদের তারা প্রতিহত করবে।’
সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয়তাবাদী উলামা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
১৯৭৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী উলামা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন।
‘পিআর হচ্ছে পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস পদ্ধতি’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি হচ্ছে, একটা পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে দেশে এবং বিভিন্ন দেশে এটা দেখা গেছে যে, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোনও স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায়, কখনও মেজরিটির ভিত্তিতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না, একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে। বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির একটা জরিপে দেখলাম যে, ৫৬% মানুষ পিআর পদ্ধতির বিরুদ্ধে। কোনও একটা জরিপে দেখলাম, কোনও একটা দল বলছে যে, ৭০% পিআর চায়। যদি ৫৬% লোক পিআর পদ্ধতি নাই বুঝে তাহলে ৭০% লোক কিভাবে পিআর পদ্ধতি চায় সেটা আমাদের বুঝে আসে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, আমরা পিআর মানে মনে করি, জনসংযোগ। সবাই জনসংযোগে আছে সেই পিআর এ আমরা বিশ্বাস করি। যারা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন মানে পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা সফল হবে না।’