জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি নেতা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৬ পিএম
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি নেতা

জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের  উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক বলেন, আজকে দেখলাম একটা পত্রিকায় যে, জনগণ যদি না চায় পিআর (সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) দরকার নাই। আল্লাহ মাবুদ, আজকে পবিত্র জুম্মার দিন, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।

তিনি বলেন, আমি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) বলব, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন।

বিএনপি নেতা আরও বলেন, জামায়ত নির্বাচনের সময়সীমা বাড়ানোর বিভিন্ন দাবি করছে, কিন্তু একদিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, জামায়াত একদিকে বলছে পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাব না। আবার তিনশত প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা করে মসজিদে মসজিদে প্রচার শুরু করে দিছে। ঘরে ঘরে শুরু করে দিছে, বেহেস্তে নিয়া যাব যদি দাঁড়ি পাল্লাকে ভোট দাও।

ফারুক বলেন, জামায়তের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন নয়। ‘আমি আমার এলাকার মানুষকে বলেছি, কোনো কিছু করার দরকার নাই। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। জনগণ জানে, শহীদ জিয়ার দল, বেগম খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল যতবারই ক্ষমতায় ছিল, বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, বাংলাদেশে আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নাই জনগণকে হারাতে পারে। কারণ বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের দল।

ফারুক বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সর্বাত্মক সমর্থনে সফল করেছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ এর সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা একটি পরিকল্পনা।

ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারো দিল্লির প্ররোচণায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবার আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, জনগণ প্রতিহত করবে।

ফারুক আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।