‘দেশের জনসংখ্যার চেয়ে শিবির বট আইডি বেশি, তারা বামদের মধ্যেও ঢুকেছে’


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার চেয়ে শিবিরের ‘‘বট’’ (ভুয়া) ফেসবুক আইডির সংখ্যা বেশি।’
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাবির পরিবহন মার্কেটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘কোনও এলাকায় শিবিরের ১০ লোক থাকলেও, সেই এলাকার শিবিরের সভাপতি যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনও পোস্ট দেয় সেখানে ১০ হাজার লোক কমেন্ট করে। আমার কথা হলো, এই লোকগুলো কি জান্নাত থেকে আসে? নাকি জাহান্নাম থেকে ছুটি নিয়ে আসছে- তা আমরা জানি না। তাই আমি তাদের আহ্বান করছি, আপনাদের যতগুলো লোক আছে তাদের প্রদর্শন করুন। অন্তরালে থেকে অন্তর্নিহিত বয়ান আর দিয়েন না। এই রাজনীতি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আর গ্রহণ করছে না।’
রাবির ছয়টি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের কমিটি না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ২-৩টা লেয়ারে একটি দল সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। রাবির রাজনীতি অন্য ক্যাম্পাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। রাবির হলের প্রভোস্টরা ছাত্রীদের ডেকে নিয়ে ইসলামী ছাত্রী সংস্থা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যারা ছাত্রদলে আসতে চায় না, তারা নির্দিষ্ট একটি দলের ভয়ে আসতেছে না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাবির জুলাই ৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে রাবি ছাত্রদলের শাহ মখ্দুম হল শাখার সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান মিলন ফেসবুকে একটি পোস্টের কমেন্টে ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হওয়ায় মিলনকে ছাত্রদল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার পর নগরীর মতিহার থানায় মামলা করে ছাত্রদল। মামলার পরবর্তী সময়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।