বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব একটা চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:১২ পিএম
বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব একটা চর্চা হয়নি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র খুব কমই চর্চা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যেখানে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে দ্য বাংলাদেশ ডায়লগ এবং ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত 'সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনাল ২০২৫' শীর্ষক জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এবং আপনাদের (অসন্তুষ্টদের) কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই কার্যকর গণতন্ত্রের সারাংশ।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন থাকবে, তেমনি ভিন্নমতের মানুষেরও মত প্রকাশের অধিকার থাকতে হবে—এটাই কার্যকর গণতন্ত্রের মূল সত্তা।’

তিনি বলেন, ‘এটা ভিন্নমত দমন করার বিষয় নয়; বরং আমাদের এর জন্য জায়গা তৈরি করতে হবে। কেউ যদি আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেও, তবুও তাদের মত প্রকাশের অধিকার রক্ষার জন্য আমাকে সবকিছু করতে হবে।’

ফখরুল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে বাংলাদেশের জন্য আরও সুদিন আসবে। একদিন, আমরা গর্বের সঙ্গে একটি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’

তরুণদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে যে কিছুই বদলাবে না। কিন্তু আমাদের তরুণরা ইতোধ্যেই আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। আমি এখন খুব আশাবাদী যে পরিবর্তন আসবে। বিতর্ক হবে, মতবিরোধ থাকবে— এবং আমাদের একে অপরের ভিন্নমত পোষণের অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমি যদি কারো সঙ্গে একমত নাও হই, তবুও তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার রক্ষার জন্য আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নেব। আমরা এটাই বিশ্বাস করি।’

বিতর্কের সময় আগে ব্যবহৃত ‘সম্মানিত’ শব্দটির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বিতর্কের একটি বিষয়ে তার আপত্তি আছে। ‘প্রধানমন্ত্রী বা স্পিকার বলার আগে কি আমাদের সত্যিই ‘মাননীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা উচিত? আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহার কর্তৃত্ববাদকে প্ররোচিত করে।’’

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশেদা ইমাম এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ইলিয়াস উপস্থিত ছিলেন।