গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে : মির্জা ফখরুল


বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।’
রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে বক্তৃতায় তিনি আজ এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই পেশাজীবী সমাবেশ এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। কারণ, প্রায় ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিলে আয়োজন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আজকে আমার মনটা ভীষণ ভারাক্রান্ত। কারণ, আজকে এই ইফতার মাহফিলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলীয় চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সশরীরে উপস্থিত থাকাটা অত্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আপনার জানেন, আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য দেশে বাইরে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আছেন। তিনি এখনো বিভিন্ন মামলা সমস্যার কারণে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থাতেই আছেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এই মুহূর্তে একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। আপনারা সবাই জানেন, যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এরপরে নতুন এক গণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হবে; এ দেশের জনগণ সেই অপেক্ষায় রয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের ভূমিকা পালন করবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যারা আমরা জড়িত আছি, আমরা যেনো এমন কোনো পদক্ষেপ না নেই, যার ফলে কেউ আমাদেরকে ভুল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের ভূমিকা পালন করব। যারা রাজনীতি করছি বা বিভিন্নভাবে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, তারা সবাই এমনভাবে কথা বলব ও কাজ করব যাতে গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরো সুগম করে।
সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে সংস্কারের জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। সেই কারণেই আমরা প্রায় দুই বছর আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের সামনে তুলে ধরেছি। সেই কর্মসূচির মধ্যে আমাদের সংস্কারের যে কথাগুলো বলা আছে, সেই কাজগুলো আমরা মনে করি দেশের পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের যে প্রস্তাব সে প্রস্তাবগুলোকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের মতামতগুলো সেইভাবে প্রদান করছি।
ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।
পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।