1. হোম
  2. জাতীয়

হাদীকে হত্যাচেষ্টা

সুড়ঙ্গ দিয়ে আসাম, সেখান থেকে মহারাষ্ট্রে ফয়সাল; ব্যবহার করছেন ভারতীয় সিম

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২২ এএম
সুড়ঙ্গ দিয়ে আসাম, সেখান থেকে মহারাষ্ট্রে ফয়সাল; ব্যবহার করছেন ভারতীয় সিম

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টা করে সেদিনই দেশ ত্যাগ করেছিলেন শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ও মোটরসাইকেল চালক আলমগীর। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত ব্যবহার করে স্থানীয় কিলার ও মানব পাচারকারী ফিলিপ স্নালে সহযোগিতায় ভারতে পালিয়ে যায় ঘটনার দিনই। সীমান্তের কাঁটাতারের বেষ্টনী ঘেঁষা কালভার্টের দুটি সুড়ঙ্গ দিয়েই দেশ ছাড়ে এই দুই সন্দেহভাজন।

সূত্রমতে, ফিলিপ স্নালের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ভুটিয়াপাড়া সীমান্তে। তার বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে কালভার্টের নিচে ছিল সেই সুরঙ্গ দুটি।

প্রাথমিক অবস্থায় আসামে কিছুদিন থাকলেও বর্তমানে স্থান পরিবর্তন করেছেন ফয়সাল ও আলমগীর। বর্তমানে তারা অবস্থান করছেন ভারতের মহারাষ্ট্রে।

নিজের মোবাইল সেটটি এখনও ব্যবহার করছেন ফয়সাল। বাংলাদেশি নম্বর বদলে বর্তমানে ব্যবহার করছেন ভারতীয় নম্বর। ভারতের জিও কোম্পানির সিমকার্ড এখন ব্যবহার করছেন ফয়সাল। তবে সবসময়ই চালু করে রেখেছেন ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। আর সে কারণেই তার অবস্থান কখনো দেখায় সিঙ্গাপুর, কখনো না থাইল্যান্ড, আবার কখনো দেখায় তার অবস্থান পুরান ঢাকায়।

ফয়সাল তার ফোনসেটটি পরিবর্তন না করায় ফোনের আইএমই নম্বর ধরে গোয়েন্দারা প্রযুক্তির সাহায্যে তার বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে ইতোমধ্যেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অস্ত্রের ব্যাগটি চার হাত বদল হয়ে গিয়েছিল নরসিংদীতে।

মঙ্গলবার নরসিংদীর একটি লেক থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, শুক্রবার দুপুরে ওসমান হাদিকে শুট করার পর ফয়সাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তার বোনের বাসায় একটি কালো ব্যাগে অস্ত্র লুকিয়ে রাখে। ব্যাগটি শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপুর কাছে দিয়ে দিতে ওইদিন মাগরিবের নামাজের পর ফয়সাল তার বাবা হুমায়ুন কবিরকে ফোন করে।

যথারীতি শিপু আগারগাঁওয়ের বিএনপি বস্তি থেকে ফয়সালের বোনের বাসায় গিয়ে ব্যাগটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে যায়। এরপর ফয়সালের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় এক যুবকের কাছে ব্যাগটি দেয়। ওই যুবকের নামও ফয়সাল। এরপর গুরুত্বপূর্ণ এই আলামত গায়েব করে দিতে ব্যাগটি লেকে ফেলে দেওয়া হয়।

এদিকে কিলিং মিশনে ব্যবহার করা বাইকটিও হয়েছে আটবার হাত বদল। পুলিশি অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। এরপর ধাপে ধাপে শহিদুল, রাসেল, মার্কেটপ্লেস, ওবায়দুল ইসলাম এবং আনারুলের হাত ধরে মোট ৮ বার এটি কেনাবেচা হয়।

সবশেষে, শুটার ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে জনৈক মাইনুদ্দিন ইসলামের নামে এটি কেনা হয়েছিল।