নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতায় যে নির্দেশনা দিল সরকার
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে জানানো হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণভোট একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিপত্রের অনুলিপি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিব, রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জনবলকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ভোটকেন্দ্র এবং আসবাবপত্র নির্বাচন কাজে ব্যবহার করা হবে।
পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ অনুযায়ী নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার নিয়োগের তারিখ থেকে দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে কর্মরত বলে গণ্য হবেন। এ সময়ে তারা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের আইনানুগ নির্দেশ পালন করতে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণকালে নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্যান্য সব দায়িত্বের ওপর প্রাধান্য পাবে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা সবার অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব বলেও পরিপত্রে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত পরিপত্রে জানানো হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ও গণভোট একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিপত্রের অনুলিপি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিব, রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জনবলকেও প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন ভোটকেন্দ্র এবং আসবাবপত্র নির্বাচন কাজে ব্যবহার করা হবে।
পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ অনুযায়ী নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার নিয়োগের তারিখ থেকে দায়িত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে কর্মরত বলে গণ্য হবেন। এ সময়ে তারা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং তাদের আইনানুগ নির্দেশ পালন করতে বাধ্য থাকবেন। প্রেষণকালে নির্বাচন-সংক্রান্ত দায়িত্ব অন্যান্য সব দায়িত্বের ওপর প্রাধান্য পাবে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করা সবার অবশ্যপালনীয় দায়িত্ব বলেও পরিপত্রে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বদলি করা যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
পরিপত্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
১. নির্বাচন কাজে অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে পালনের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবিলম্বে নির্দেশ দিতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের নির্দেশনা জারি করতে হবে।
৩. নির্বাচন পরিচালনার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছুটি, বদলি বা এমন কোনো দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে, যা তাদের নির্বাচনী কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিপি/আইএইচ
উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিপি/আইএইচ
ট্যাগ:
অন্তর্বর্তী সরকার