প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালেন লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী

Bangla Post Desk
বাসস
প্রকাশিত:০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালেন লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হরিণী অমরাসুরিয়া। ছবি- সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হরিণী অমরাসুরিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সে দেশের সাম্প্রতিক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পর বাংলাদেশের সহায়তা ও সংহতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হরিণী অমরাসুরিয়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অমরাসুরিয়া শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পর বাংলাদেশের ‘সহানুভূতি ও সংহতির প্রকাশ এবং সহায়তার’ জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। এসব দুর্যোগে গত এক সপ্তাহে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেলিফোনালাপে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তিনি অব্যাহতভাবে শ্রীলঙ্কার পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত জরুরি সহায়তা ও দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যা কিছু প্রয়োজন, বাংলাদেশ তা করতে প্রস্তুত।’

প্রধানমন্ত্রী হরিণী অমরাসুরিয়া জানান, তার সরকার বর্তমানে ভারী বৃষ্টি ও ব্যাপক বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান নিরূপণে কাজ করছে।

টেলিফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং ঢাকা কলম্বোর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে আগ্রহী বলে জানান।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।

আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।