মামলার হাজিরা দিতে এসে খুন হলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী
সোমবার (১০ নভেম্বর) ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুজন মুখোশধারীর গুলিতে নিহত হন তারিক সাইফ মামুন (৫০) নামের এক ব্যক্তি। প্রাথমিক অবস্থায় মামুনকে সাধারণ মানুষ মনে হলেও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভয়ংকর এক তথ্য।
নিহত মামুন সাধারণ মানুষ কিংবা ব্যবসায়ী নন। বরং তিনি ছিলেন শীর্ষ সন্ত্রাসী। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি ছিলেন নিহত মামুন। মামলার হাজিরা দিতে তিনি এসেছিলেন আদালতে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী জানান, ‘নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈফ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন একটা সময়। নিজেদের আলাদা বাহিনীও ছিল তাদের। বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী।
এর আগেও একবার মামুনের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি চালিয়েছিল একদল সন্ত্রাসী। সেবার কোনমতে বেঁচে গেলেও গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন মোটর সাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল।
সে ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, হামলা চালিয়েছিল ইমনের লোকজন। ইমন সে সময় কারাবন্দি ছিলেন। আর মামুন তার কিছুদিন আগেই পেয়েছিলেন ছাড়া।
গুলি থেকে সেবার বাঁচলেও প্রতিপক্ষের কোপে বেশ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন মামুন। তবে এবার আর বাঁচতে পারলেন না। প্রাণ দিয়েই দিতে হলো তাকে।
