গ্রামীণ ব্যাংকসহ ঢাকার ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, লক্ষ্য উপদেষ্টার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:১০ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০০ পিএম
গ্রামীণ ব্যাংকসহ ঢাকার ৩ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, লক্ষ্য উপদেষ্টার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

রবিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ৪৩ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেলে সাদা পোশাক পরা এবং মুখে গামছা বাঁধা দুই ব্যক্তি এসে দ্রুত পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।

মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 'প্রবর্তনা'-কে লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। বিকট শব্দে ককটেল দুটি বিস্ফোরিত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মাইডাস সেন্টারের সামনে সকাল আনুমানিক ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের মতে, একটি মোটরসাইকেলে দুই-তিনজন আরোহী এসে ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত চলে যায়। ধানমন্ডি জোনের এসি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন যে, মোটরসাইকেল আরোহীরা ইবনে সিনা হাসপাতাল এবং রাপা প্লাজার উল্টো পাশে মাইডাস সেন্টারের সামনে মোট চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ নিশ্চিত করেছেন, সকালে গলির ভেতরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে দুষ্কৃতিকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

ধানমন্ডি জোনের এসি শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, বিস্ফোরণের স্থানগুলো থেকে আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।