লাহোরের বাতাস আজ ‘বিপজ্জনক’, ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
দক্ষিণ এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে দূষণের মাত্রা প্রায়ই বেশি থাকতে দেখা যায়। প্রতিনিয়তই শহরটির বাতাসের মানের অবনতি হয়েই চলেছে। এরই মধ্যে আজ শহরটির বাতাস ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৩৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে লাহোর।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, লাহোরের বাতাসের মান সাধারণত শীতকাল, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায়। এ সময় পাঞ্জাব প্রদেশের কৃষকেরা ফসল কাটার পর জমিতে বাকি থাকা খড়কুটো পুড়িয়ে ফেলেন, যার ধোঁয়া সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে দূষিত কণাগুলো বাতাসে আরও দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
এদিকে, বৃষ্টির প্রভাব শেষ হতে না হতেই রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার নবম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের ভিড় তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দেখা গেলেও ঢাকার বাতাসে কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। বরং গতকালের চেয়ে শহরটির বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে।
গতকাল সকালে একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও আজ তা সবার জন্যই ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা। শহরদুটির স্কোর যথাক্রমে ২০৩ ও ১৭১।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
