৩১ অক্টোবর না, তরুণদের ভোটের দিন পর্যন্ত ভোটার করার দাবি এনসিপির

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
৩১ অক্টোবর না, তরুণদের ভোটের দিন পর্যন্ত ভোটার করার দাবি এনসিপির

আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে এমন দাবি করে দলটি।

বৈঠক শেষে ভোটে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাদের ১৮ বছর হবে তারা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আমরা বলেছি, ভোটের দিন যাদের বয়স ১৮ হবে তাদেরও যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

 

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নামের একটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা। তিনি বলেন, ‘এই জাতীয় লীগের যিনি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আতাউর রহমান খান, তিনি এক সময় পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশেরও উনি নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং এক পর্যায়ে বাকশালে যোগদান করেছিলেন তার দল বিলুপ্ত করে। পরে আবার দল বিলুপ্ত করে এরশাদ সরকারের 

 যোগ দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এবং ১৯৯১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘তার ছেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে বেশ কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছিলাম, যে এই জাতীয় লীগ ১৯৯১ সালে আতাউর রহমান খান মৃত্যুবরণ করার পরে আর কীভাবে এই জাতীয় লীগের দল হিসেবে ধারাবাহিকতা ছিল। … তাদের নিবন্ধন দরখাস্তে যে প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে, টানপাড়া আঁটি, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ;  টানপাড়া আঁটি নামে আসলে কোনও জায়গারই অস্তিত্ব নেই।’

‘এছাড়া ওই দলের কোনও গঠনতন্ত্র নেই, ওই দলের যারা নেতৃত্ব দেন, তাদেরকে কেউ চেনে না। মাঠে কোনও কর্মসূচি নাই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেছিলাম যে আপনারা এমন একটি দলের নিবন্ধন দেয়ার ব্যাপারে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন? আপনাদের যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেই প্রক্রিয়াগুলো পার হয়ে আপনাদের প্রক্রিয়ার ভিতরে ফিজিক্যালি ওনাদের প্রধান কার্যালয় ভিজিট করার কথা আছে। সেই প্রধান কার্যালয় ভিজিট করে কিভাবে এটা ওকে পেলেন এবং ওকে যদি পেয়ে থাকেন তাহলে এই যে প্রশ্নগুলো এখন আসছে, সেগুলোর ব্যাপারে আপনারা কী জবাব দেবেন?’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের জানানো হয়েছে যে, তারা এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন এবং ইতোমধ্যে তারা ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন এই বিষয়টি রিভিউ করার জন্য। একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির কাজে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। আমরা বলেছি রিপোর্টিংয়ের পরেই যেহেতু তাদেরকে নিবন্ধন দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মানে প্রধান কার্যালয় দলের, গঠনতন্ত্র সকল কিছুই আপনারা ওকে পেয়েছিলেন। তাহলে আপনাদের যে অফিসার এই তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা ভুল বা মিথ্যা রিপোর্ট কমিশনে দিয়েছে এবং সেটার উপরে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আপনাদের বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’