নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান সিইসি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান সিইসি
ছবি : সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে টেলিভিশিন, পত্রিকা, অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ শুরু হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন।

ভোটের পথে নিজেদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে সিইসি জানান, অংশীজনের আলোচনার শেষ পযায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। সংস্কার কমিশন অনেক কাজ এগিয়ে নেওয়ায় হালকা বোধ করছে ইসি। তিনি বলেন, ‘জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। এ সংলাপ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আপনাদের পরামর্শ মূল্যায়ন করতে চাই। লেভেল প্লেয়ি ফিল্ড তৈরিতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

এএএম নাসির উদ্দিন বলেন, ইসির একার পক্ষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্ভব নয়। গণমাধ্যমসহ আইন শৃঙ্খলা, দল, প্রার্থী, ভোটার, জনগণলসহ সবার সহায়তা লাগবে। অপতথ্য, মিথ্য তথ্য রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা লাগবে।

গত ববছরের নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার অনেকগুলো কাজ করেছি। বিশেষ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হয়েছে। নারীরা ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল, তাদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছি।

সিইসি জানান, এ কাজে ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা হয়েছে। বাদ পড়া ৪৩ লাখেরও বেশি ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। মহিলা ভোটারদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, পুরুষ ও নারী ভোটারের ব্যবধান ছিল ৩০ লাখের মতো। এ ব্যবধান কমে ১৮ লাখে নেমেছে।

তিনি জানান, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ভোটিং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এটা সংকর জাতীয় ব্যবস্থা বলা যায়। আইন শৃঙ্খলা, ভোটের দায়িত্বে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনি হেফােজতে থাকা ব্যক্তিদের পোস্টাল ব্যালটের আওতায় এনে ভোট নেওয়ার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, আমাদের লুকানোর কিছু নেই। দেশ ও বিশ্বকে দেখাতে চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। স্বচ্ছভাবে আয়নার মতো পরিষ্কার করে নির্বাচনটা করতে চাই। আমাদের সাফ কথা, গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে। স্বচ্ছ পদ্ধতিতে কাজটা সারতে চাই। ভোটারদের জন্য কিছুদিনের মধ্যে সচেতনতা প্রোগ্রাম শুরু করব।

সকালে সংলাপে টেলিভিশনের প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন- একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ ও সিইও শফিক আহমেদ, বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান জিয়াউল কবীর সুমন, যমুনা টিভির তৌহিদুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মোস্তফা আকমল গোলাবাল টিভির ফেরদৌস মামুন, চ্যানেল আই-এর জাহিদ নেওয়াজ খান, ডিবিসি’র লোটন একরাম, এটিএন নিউজের শহীদুল আজম, গ্রীন টিভির মাহমুদ হাসান, জিটিভির গাউছুল আজম বিপু, দীপ্ত টিভির এসএম আকাশ, সময় টিভির জহুরুল ইসলাম জনি, নিউজ টোয়েন্টিফোরের শরিফুল ইসলাম খান, মাছরাঙ্গা টিভির নিয়াজ মোর্শেদ, আনন্দ টিভির জয়নাল আবেদীন, এটিএন বাংলার ইকরামুল হক সায়েম, বিটিভির মনির ইসলাম উপস্থিত রয়েছেন।