পাঁচ দফা দাবি: ইউজিসি ঘেরাওয়ের ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষকদের


রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে কলেজিয়েট বা অধিভুক্তমূলক কাঠামোর আওতায় রাখাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কলেজগুলোতে কর্মরত শিক্ষকরা।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সরকারি সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি পালন করবেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির ব্যানারে জরুরি বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের ফলে কলেজের সক্ষমতা সংকোচনের দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে পাঁচ প্রস্তাবনা দেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর এসব দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সরকারি সাত কলেজ শিক্ষকদের পক্ষে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষকরা ডিজির কাছে এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।
পাঁচ দফা প্রস্তাবে যা আছে,
শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ানো
গবেষণা বাজেট, আধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরি, আবাসন ও বৃত্তি সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা।
সব অংশীজনের জানার অধিকার ও তথ্যের স্বচ্ছতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের স্বার্থ সুরক্ষা করে শিক্ষার পরিবেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও বরিশাল বি এম কলেজের উদাহরণ অনুসরণ করে প্রয়োজনে নতুন ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা জানান, কলেজগেুলোতে আসন কমানোর ফলে দেশের বড় সংখ্যক সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষা হতে বঞ্চিত হবে। সরকারি কলেজের গঠনগত বৈশিষ্ট্য ও অবকাঠামো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দুই ধরনের সংকট তৈরি হয়। একদিকে শিক্ষার সুযোগ সংকুচিত হয়, অন্যদিকে অবকাঠামোগত সংকট চরমে ওঠে। এসব কলেজের শিক্ষকরা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় হলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের পদ সেখানে সংকুচিত হয়ে যাবে।
এতে আরও বলা হয়, পদ বিলুপ্ত হলে তা ভবিষ্যৎ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার পদপ্রার্থীদের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে। ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ দীর্ঘকাল ধরে নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রস্তাবিত সংকোচন কার্যকর হলে রাজধানীতে নারীদের উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, তাদের প্রবেশাধিকার সংকীর্ণ হবে এবং সংবিধানপ্রদত্ত সমান সুযোগের নিশ্চয়তা লঙ্ঘিত হবে।