নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ: চার দিনে ১,৭৬০ শুনানি করবে ইসি


২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আপত্তি ও সুপারিশ নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে শুনানি করবে। চার দিনব্যাপী শুনানির সময় কমিশন সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রায় ১,৭৬০টি আপত্তি ও সুপারিশ নিষ্পত্তি করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিশন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৮৩টি আসনের আপত্তি ও সুপারিশ শুনবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৪ আগস্ট শুনানি হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২,৩ ও ৫, কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯, ১০ ও ১১, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের। ২৫ আগস্ট শুনানি হবে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, যশোর-৩ ও ৬, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১ ও ২, পিরোজপুর-১, ২ ও ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮ ও ১০, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান।
২৬ আগস্ট শুনানি হবে মানিকগঞ্জ -১, ২ এবং ৩, মুন্সিগঞ্জ -১, ২ এবং ৩, গাজিপুর -২ এবং ৬, নরসিংদী -৩, ৪ এবং ৫, নারায়ণগঞ্জ -৩, ৪ এবং ৫, ঢাকা-১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১০, ১৪, ১৫, ১৮ ও ১৯ নির্বাচনী আসনের বিষয়গুলো। ২৭ আগস্ট শুনানি হবে পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১ ও কুড়িগ্রাম-৪, সিরাজগঞ্জ-২, ৫ ও ৬, পাবনা-১, টাঙ্গাইল-৬, জামালপুর-২ ও কিশোরগঞ্জ-১, সিলেট-১, ফরিদপুর-১ ও ৪, মাদারীপুর-২ ও ৩, শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের বিষয়গুলো।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৮৩টি আসনের মধ্যে প্রায় ১,৭৬০টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ৬৮৩টি আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে রংপুর থেকে সর্বনিম্ন ৭টি আবেদন জমা পড়েছে। কুমিল্লা-১ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬২টি আবেদন জমা পড়েছে।
গত ৩০ জুলাই, ইসি ১৪টি জেলার ৩৯টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ৩০০টি সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশ করে। খসড়া সীমানা নির্ধারণ অনুযায়ী, গাজীপুর জেলার আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয়টি করে বাড়ানো হয়েছে। আর বাগেরহাট জেলার আসন সংখ্যা চার থেকে তিনে কমিয়ে আনা হয়েছে।
এরপর কমিশন ১০ আগস্ট পর্যন্ত আসন সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়ে আপত্তি, দাবি এবং সুপারিশ পেয়েছে। শুনানির পর, ইসি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে ৩০০টি সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন আগের নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ১০টি আসন পুনর্নির্ধারণ করে। আর কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে। কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮৭টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে এবং এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে নবম সাধারণ নির্বাচনের আগে ১৩৩টি আসনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছিল।