কৃষি খাতকে দখলে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: শঙ্কা ফরিদা আখতারের

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
কৃষি খাতকে দখলে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: শঙ্কা ফরিদা আখতারের
ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আশঙ্কা করছেন— বাংলাদেশের কৃষি খাতকে দখলে নিতে চাইছে আমেরিকা। তিনি বলেছেন, কৃষিটাকে ওরা (আমেরিকা) দখলে নিয়ে নেবে এবং কোম্পানিগুলো চলে আসবে।’

বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ইনস্টিটিউটে ‘নাগরিক উদ্যোগ’ আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. মোশাহিদা সুলতানা, ডা. জাহেদ মাসুদ, গওহর নইম ওয়ারা ও সালাউদ্দিন বাবলু। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বরকত উল্লাহ মারুফ এবং বিভিন্ন কারিগরি বিষয় উপস্থাপন করেন সানিয়া রিড স্মিথ।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘একটি ওয়ার্নিং দিয়ে রাখি—এরইমধ্যে আমেরিকানদের সঙ্গে যত কথাবার্তা হয়েছে, তারমধ্যে তারা কৃষিতে জিএমও (জেনেটিক্যালি মোডিফায়েড অর্গানিজম) এনেই ছাড়বে। আমার মন্ত্রণালয় যেহেতু কৃষি মন্ত্রণালয় না, আমি এ বিষয়ে কিছু করতে পারছি না। কিন্তু আমেরিকানদের সঙ্গে যতই কথাবার্তা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে— তাদের জিএমও আনার জন্য – কৃষিটাকে ওরা দখলে নিয়ে নেবে এবং কোম্পানিগুলো চলে আসবে।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘ব্রাজিল ও জাপান তো অনুরোধ করে, কিন্তু আমেরিকা বলে—কথাই বলতে পারবে না, মানতেই হবে। এরকম একটা অবস্থায় আছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নন-ডিসক্লোজারর এগ্রিমেন্টের বিষয়ে আমার মত হলো— একজন নাগরিক হিসেবে এটি আমরা গ্রহণ করতে পারি না। আমি নিজেই অসহায় বোধ করছি এটার জন্য।’

বাংলাদেশের বড় ঝামেলা হয়ে গেছে ট্রাম্পের ট্যারিফ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে আছি, আমাদের কাছে যে কথাগুলো আসে— মাংস আমদানি করতে হবে। কারণ আমেরিকা থেকে মাংস আসলে ৩০০ টাকায় মাংস খাওয়ানো যাবে, যেখানে এখন বাজারে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় গরুর মাংস খেতে হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি বলি যে, মাংস আমদানি করা যাবে না, তাহলে তারা বলে— বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এটি অভিযোগ আকারে যাবে। ফলে আমরা এটা বলতে পারবো না। আমাদেরকে বলতে হবে, আমরা কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। আমরা মনে করছি, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মুসলিম এবং এটি হালাল কিনা, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং এটার উত্তরে তারা বলছে— এখান থেকে তারা ৩০ হাজার মওলানা নিয়ে গিয়ে হালাল কায়দায় জবাই করে পাঠাবে। এগুলো আপনাদের আমি বলছি এ কারণে যে, কোথায় গিয়ে চাপটা আছে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘যে পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, তাতে তারা একটি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারতো। দ্বিপাক্ষিক গোপন বাণিজ্য চুক্তিগুলো জনগণের সামনে প্রকাশ করার একটা নজির তারা উপস্থাপন করতে পারতো, তাতে বাংলাদেশে গোপন চুক্তি করার চর্চা বন্ধ হয়ে যেত।’