আন্দোলন-বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ মে ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
আন্দোলন-বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে

আন্দোলন ও বৃষ্টিতে কাকরাইল মোড়সহ আশেপাশের কিছু রাস্তা বন্ধ থাকায় তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।

গুলিস্তান থেকে মৌচাক যাচ্ছিলেন নাজিয়া। এসময় তিনি বলেন, ‘আজকে শাহবাগে কোনো আন্দোলন না থাকলেও কাকরাইলে আন্দোলনের কারণে রাস্তা বন্ধ। পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য রাস্তায় পানিও জমে আছে।’

তিনি বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকলে উল্টো রুটেও কিছু গাড়ি ঢুকে যায়। আর অটোরিকশা তো আছেই! যখন যেখানে পারছে, ঢুকে যাচ্ছে।’ এসব ভোগান্তি ঠেলে কোনোরকমে আড়াই ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছেছেন বলে জানান এই যাত্রী।

রাজধানীর মগবাজার থেকে নিয়মিত কাপ্তানবাজারে যান বেসরকারি চাকরিজীবী আবির। তবে বাসা থেকে বেরিয়েই যেন বিপাকে পড়েছেন তিনি। গুলিস্তানগামী কোনো বাস চোখেই পড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো বাস পেলাম না। যেগুলা আছে, সেগুলোও ফুল লোড। এদিকে, শান্তিনগর থেকে কাকরাইল সড়কও বন্ধ। পরে ইস্কাটন দিয়ে রিকশা দিয়ে সেগুনবাগিচা গিয়ে সেখান থেকে প্রেস ক্লাব মোড়ে যাই। সেখান থেকে কাপ্তানবাজারের রিকশা নিয়ে দেখি গুলিস্তানের রাস্তা বন্ধ! পরে রিকশা থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হয়েছে।’

রমনা থানার ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কোন কারণে রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে যথাসম্ভব যানজট কমিয়ে আনার চেষ্টা করি। ঢাকায় চলাচলের প্রধান রাস্তা হলো উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ থেকে উত্তর। বাকি সবগুলো রাস্তা সংযুক্ত।

তিনি জানান, ‘সকালের দিকে উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং বিকালে দক্ষিণ থেকে উত্তরে গাড়ি চলাচল বেশি হয়। কোনো রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দেই।’

শফিকুল ইসলাম আরও জানান, ‘ফার্মগেট থেকে শাহবাগ হয়ে সচিবালয়ের রাস্তা, মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মিরপুর রোড এবং রামপুরা থেকে বাড্ডা এই চারটি সড়কে বেশি গাড়ি চলাচল করে।’

‘চারটির কোনো একটি রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা গাড়িগুলো দিক পরিবর্তন করে দেই। এই জায়গাগুলোতে প্রতিদিনই ট্রাফিক টিম কাজ করছে’ –দাবি করেন এ ডেপুটি কমিশনার।

বুধবার (১৪ মে) থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জবি শিক্ষার্থীরা। একই দিন শাহবাগ মোড় আটকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্দোলন করেন বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

টানা আন্দোলনে প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাস্তা বন্ধ থাকায় রাজধানীবাসীর ভোগান্তি চরমে উঠেছে।