হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধীদের অশালীন আচরণ, চিকিৎসকদের প্রতিবাদ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৫ মে ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম
হাসপাতালে ঢুকে বৈষম্যবিরোধীদের অশালীন আচরণ, চিকিৎসকদের প্রতিবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে ঢুকে অশালীন ও আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে হাসপাতালটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানায় জেলা শাখার চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ, ড্যাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সভাপতি ময়েজ উদ্দিন, এনডিএফের জেলা শাখার সভাপতি মহিউদ্দীন, হাসপাতালের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন।

ময়েজ উদ্দিন বলেন, “৩০ এপ্রিল বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কয়েকজন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে ঢুকে অশালীন, অভদ্র ও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। কোনো ধরনের প্রটোকল অনুসরণ না করে তারা (বৈষম্যবিরোধীরা) জোর করে হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও কর্মচারীর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টের হার্ড কপি ও সফট কপি দাবি করেন। তথ্য অধিকার আইনের নিয়ম অনুযায়ী আসতে বললে তারা অস্বীকৃতি জানান।”

তিনি বলেন, “এ বিষয়ে তারা (বৈষম্যবিরোধীরা) হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান এবং অসদাচরণ করে হুমকি দেন।”

লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, “৫ আগস্টের অর্জনকে আমরা (চিকিৎসকেরা) বুকে ধারণ করি। এই অর্জনে চিকিৎসক সমাজের বলিষ্ঠ ভূমিকাকে স্মরণ করি। কতিপয় দুর্বৃত্ত যেন এ অর্জনকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে আন্দোলনের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে হাসপাতাল ও চিকিৎসক সমাজকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যক্তির চরিত্র হননের চেষ্টা করা হয়েছে; যা নিন্দনীয়।”

ক্ষোভ প্রকাশ করে ময়েজউদ্দীন বলেন, “আমার ছেলের বয়সী ছেলেরা যখন একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের উদ্দেশে আঙুল উঁচিয়ে বলে, ‘আপনি একজন দালাল’, তখন এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ অভিযোগ করেন, “গত সেপ্টেম্বর মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কয়েকজন হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের বরখাস্ত করে নতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তারা ওষুধ ও হাসপাতালের খাবারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে হস্তক্ষেপ করে পছন্দের ঠিকাদারের পক্ষে তদবির করেন।”

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবদুর রাহিম বলেন, “চিকিৎসকদের দালাল বলা ঠিক হয়নি। তবে আমাদের উপদেষ্টাদের দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে দালাল বলা হয়েছে। এর আগে তদবির করতে কারা গেছে, তা আমাদের জানানো হয়নি।”