ঈদযাত্রায় গাজীপুরে যাত্রীদের ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
ঈদযাত্রায় গাজীপুরে যাত্রীদের ঢল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

ঈদ যাত্রায় গাজীপুরের ঢাকা- ময়মনসিংহ ও ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। উত্তরবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে যাত্রীদের।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) চান্দনা চৌরাস্তা ও চন্দ্রা মোরে গাড়ির চাপ থাকায় কিছুটা ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এছাড়া অন্য অংশে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ভোরে ভোগড়া বাইপাস থেকে চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, গাজীপুরা পয়েন্টে বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভার ও বিআরটি স্টেশন এর কারনণে সড়কের লেন কমে যাওয়ায় ওই সকল স্থানে যান চলাচল করছে ধীরগতিতে।

এদিকে, ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ও কিছুটা অস্বস্তি হয় মূলত যাত্রী উঠানামাকে কেন্দ্র করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ইউটার্ন নেওয়া, যাত্রী উঠানামার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। এতে এই পয়েন্টে কিছুটা ধীর গতিতে চলছে গাড়ি।

চান্দনা চৌরাস্তায় জামালপুর, শেরপুরসহ বিভিন্ন রুটে এবং চন্দ্রা মোরে রংপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

যানজট নিরসন ও ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় ড্রোন পর্যবেক্ষণ, মোটরসাইকেল পেট্রোলিং, কুইক রেসপন্স টিম ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুলিশ কাজ করছে। একই সঙ্গে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার অশোক কুমার পাল জানান,  ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ‌ এছাড়া পোশাক কারখানাগুলো একযোগে ছুটি হলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।