ঈদের ছুটিতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের


ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলম করেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান জানান, দেশে মোট ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে যে হারে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে—তা উদ্বেগজনক। এতে করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বাজুসের নিউ ইস্কাটন রোডের স্থায়ী কার্যালয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা আরও জোরদার এবং জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানায় বাজুস।
রিপন বলেন, জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১১টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা এবং হবিগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। এ অবস্থায় ঈদের ছুটিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অলংকারের কর্ণধার এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘২৬ মার্চ ভোর পাঁচটায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল আমার বাসায় হামলা চালায়। তারা আমাকে টার্গেট করেই এসেছিল। যেভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে তারা গেট ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে তাতে করেই বোঝা যায় এরা প্রশিক্ষিত ডাকাত। এরা আমাকে অপহরণের চেষ্টাও করে। এ ধরণের ঘটনার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, সরকারের নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগেও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিজ এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যাবৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মার্কেট মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদে কীভাবে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়—তা নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র প্রহরার দাবি জানিয়ে বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা স্বর্ণ চুরি এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত—তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। নিরাপত্তাহীনতা না কাটলে ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বাজুস।