নেট দুনিয়া কাঁপাচ্ছে ওসমান হাদির কফিন!
‘হারাম খাইয়া আমি এতো মোটাতাজা হই নাই, যাতে আমার স্পেশাল কফিন লাগবে! খুবই সাধারণ একটা কফিনে হালাল রক্তের হাসিমুখে আমি আমার আল্লাহর কাছে হাজির হবো’।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ওসমান হাদির কফিন পোস্ট করে এর ক্যাপশনে লেখা হয় হাদির এই ঐতিহাসিক বক্তব্য।
হাদির কফিনের এই ছবিটি আপলোডের প্রথম দুই ঘণ্টায় ৪১ হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন। লাইক ও কমেন্ট করেছেন সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ।
ওই ছবিতে কমেন্ট করেছেন সাড়ে ১৪ হাজার নেটিজেন।
আহমেদ জয়নাল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বিপ্লবীরা বেশিদিন বাঁচে না, তাদেরকে শহীদ হতে হয়। তবুও তারা বেঁচে থাকে মানুষের চেতনায়, সংগ্রামের প্রেরণায়।
অবিথো নামের একজন বলেন, বিপ্লবীদের মৃত্যু হয় না! বিপ্লীরা থেকে যাই সবার হৃদয়ে
সাবির হোসেন শিহাব বলেন, হাদি থেকে হাদি তৈরি হবে।
উনার ছেলেও যেন তার মতোই বিপ্লবী হয় বা উনার থেকেও বড় বিপ্লবী।দোয়া রইলো
সিয়াম বিন আসলাম লেখেন, হাদী ভাই আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে বিড়ালের মতো ১০০ বছর না বেঁচে সিংহের মতো ১ ঘন্টা বেঁচে থাকতে হয়।
মাহফুজুর রহমান পলাশ নামের একজন লেখেন,
হাদি মরেনি—হাদি হয়ে গেছে প্রতিবাদের নাম।
ওর মৃত্যু নয়, শুরু হলো নতুন লড়াই।
শিমুল হাসান আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, যে হাদি জনতার, সে হাদি মরে নাই।
আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন, হাদী চলে যায়নি—সে সাহস, আদর্শ আর দেশপ্রেমের ভাষা শিখিয়ে গেছে।
বুকভরা সাহসে জন্ম নেওয়া সেই বীর, আমাদের মাঝেই হাজার বছর বেঁচে থাকবে।
আসাদুজ্জামান লেখেন, গুলির শব্দ থেমে গেছে, কিন্তু হাদী ভাইয়ের কণ্ঠ এখনো মানুষের বিবেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ইনসাফের পথে হাঁটা মানুষরা কখনো মরেন না।
জয়দেব রায় নামের একজন বলেন, হাদি চলে গেলেন কিন্তু একটা ইতিহাস গড়ে গেলেন।
শাহিদ আহমেদ হেলাল বলেন, নক্ষত্রের মৃত্যু নেই, তারা বেঁচে থাকবে আজীবন বিপ্লবী হয়ে। বিপ্লবীদের মৃত্যু কখনই সম্ভব নয়।
জাফরুল হাসান নামের একজন বলেন, হাদি ভাইয়ের সব কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। এমনটা কারো সাথে হতে কখনও দেখি নাই।
আহমেদ মুরাদ বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম হাদীর নাম এই দেশের ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। ওসমান হাদী এই যুগের শহীদ তিতুমীর।