যেভাবে গ্রেফতারের পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে শেখ হাসিনার
মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঐতিহাসিক এই রায় দেয়া হয়।
তবে আদালতের দেয়া এই সর্বোচ্চ সাজার রায়ের বিপক্ষে আপিল করার সুযোগ করেছে আসামীদের। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের ভেতর করতে হবে এই আপিল।
যদি ৩০ দিনের ভেতর আপিল করা না হয় তাহলে কী হবে? উত্তরটা দিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।
নির্ধারিত ৩০ দিনের ভেতর যদি উচ্চ আদালতে আপিল করা না হয়, তাহলে ৩০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর আপিলের সুযোগ আর থাকবে না। সেক্ষেত্রে গ্রেফতারের পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে আসামীদের।
গাজী মোনোওয়ার বলেন, ‘যদি তারা (দণ্ডপ্রাপ্ত হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান) ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তারা গ্রেফতার হলে রায় কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুযায়ী, যেসব আপিলের সময়সীমা নির্ধারণ হয়, সেখানে আপিলের সময় পেরিয়ে গেলেও তামাদি আইনের পাঁচ ধারা অনুসারে ডিলে কন্ডোনেশনের (বিলম্ব মার্জনার আবেদন) সুযোগ আছে; অর্থাৎ দণ্ডবিধিতে যদি কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়, তিনি নির্ধারিত সময়ে আপিল না করলেও পরে এসে আপিলের জন্য বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যেখানে আপিলের সময় আইনের মধ্যে বলা আছে, সে ক্ষেত্রে এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বিলম্ব মার্জনার কোনো সুযোগ নেই; অর্থাৎ এই ৩০ দিন পার হয়ে গেলে ক্ষমা (বিলম্ব মাজর্না) করার আবেদনেরই আর কোনো সুযোগ নেই। সরকার এটি তখন কার্যকর করবে।’
ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ নম্বর ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিলের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে- দণ্ড ও সাজা দেওয়া অথবা খালাস অথবা কোনো সাজা দেওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এই সময়সীমা (রায় দেওয়ার ৩০ দিন পর) অতিক্রান্ত হওয়ার পর কোনো আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না।
আর ২১ নম্বর ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, আপিল করার তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
