পলাতক হাসিনা-শাকিলের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৯ জুন ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
পলাতক হাসিনা-শাকিলের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা পলাতক শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল) নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলার শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে মতামত প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচারের মুখোমুখি হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত শাকিল হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

জানা গেছে, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি,’ বলে ‘শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের’ একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পায়। পরবর্তীতে এই বক্তব্যের বিষয়ে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

প্রসিকিউশনের করা সে আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৫ মে জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ২৫ মে তারা হাজির না থাকায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনাসহ দুজনকে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হাজির হওয়ার জন্য বহুল প্রচারিত দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর নির্দেশক্রমে ট্রইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ এস এম রুহুল ইমরানের সই করা নোটিশটি ২৬ মে যুগান্তর ও নিউএজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নোটিশে ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব বা বক্তব্য দাখিল করতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। তবে গত ৩ জুন আদালত অবমাননার অভিযুক্তরা হাজির না হওয়া ট্র্যাইব্যুনাল পরবর্তী আদেশের জন্য ১৯ জুন দিন ধার্য করেন।