পাকিস্তান সেনাবাহিনী: ভারতের ১২ ড্রোন ‘নিষ্ক্রিয়’, ১ বেসামরিক নাগরিক নিহত


পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অভিযান চলমান থাকা অবস্থায় একাধিক স্থানে ১২টি ভারতীয় ড্রোন “নিষ্ক্রিয়” করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলছে। এতে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং চারজন পাকিস্তানি সেনা আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনী এ কথা জানায়। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলার এক দিন পর এই ঘটনা ঘটল।
গত ২২ এপ্রিল ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। ওই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের হাত ছিল দাবি করে জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত। পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার পর পাকিস্তানের ছয় শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।
তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারতের তিনটি রাফালসহ পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হামলায় নারী-শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, “গত রাতে (বুধবার দিবাগত রাতে) ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার কারণে, মিয়ানোতে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।”
চৌধুরী বলেছেন, “আমরা যেমনটি বলছি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং সেনাবাহিনী তাদের নিষ্ক্রিয় করছে।”
পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশের বিভিন্নস্থানে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য ভোরে উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছিল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের তিনটি প্রধান শহর- ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরের বিমানবন্দরগুলো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।