খাবারে বিপদ! ফুড পয়জনিং হলে বাঁচার উপায় জানেন তো?
খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ বমি, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যথা বা জ্বর—এমন উপসর্গ দেখা দিলে তা হতে পারে ফুড পয়জনিং। বিশেষ করে গরমের সময় বাসি, অস্বাস্থ্যকর বা দূষিত খাবার থেকে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ফুড পয়জনিং গুরুতর আকারও নিতে পারে।
ফুড পয়জনিংয়ের সাধারণ লক্ষণ খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বমি, ডায়রিয়া, পেট মোচড়, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা কিংবা হালকা জ্বর দেখা দিতে পারে। শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থদের ক্ষেত্রে এসব উপসর্গ দ্রুত মারাত্মক হতে পারে।
ফুড পয়জনিং হলে প্রথমেই যা করবেন চিকিৎসকরা বলছেন, শরীর থেকে পানিশূন্যতা রোধ করাই সবচেয়ে জরুরি। বারবার বমি বা ডায়রিয়া হলে অল্প অল্প করে স্যালাইন বা পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। ভারী, ঝাল বা তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সম্ভব হলে কয়েক ঘণ্টা হালকা তরল খাবারেই থাকা ভালো।
যা একদমই করা যাবে না অনেকেই বমি বন্ধ করতে বা পেট শক্ত করতে নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা শক্ত ওষুধ নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এতে সংক্রমণ আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কখন হাসপাতালে যাবেন যদি বারবার বমি-ডায়রিয়া থামছে না, জ্বর বেশি থাকে, রক্তমিশ্রিত পায়খানা হয় বা শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে—তাহলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গ হলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সতর্ক থাকলেই ঝুঁকি কম খাবার সব সময় টাটকা ও ভালোভাবে রান্না করা কিনা নিশ্চিত করা, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া এবং দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা খাবার এড়িয়ে চললেই অনেকাংশে ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।