সিঙ্গাপুরের ময়নাতদন্তে জানা গেল জুবিনের মৃত্যু রহস্য

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
সিঙ্গাপুরের ময়নাতদন্তে জানা গেল জুবিনের মৃত্যু রহস্য
ছবি : সংগৃহীত

তদন্তে বেরিয়ে আসছে জুবিনের মৃত্যু নিয়ে একের পর এক নতুন তথ্য। যা বলিউড সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। আকস্মিক গায়কের মৃত্যু নিছকই একটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড; সে প্রশ্নেরও জন্ম দিচ্ছে একাধিক তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ।

নিউজ১৮ এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায, জুবিন গর্গের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া নানা গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) প্রকাশিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, স্কুবা ডাইভিং নয়, বরং সিঙ্গাপুরের একটি দ্বীপে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন তিনি।

প্রতিবেদনটি তুলে দেয়া হয়েছে জুবিনের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া গর্গের হাতে। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর পুলিশ (এসপিএফ) ময়নাতদন্ত রিপোর্টের কপি ও প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদন  ইন্ডিয়া হাইকমিশনের কাছেও হস্তান্তর করেছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা প্রয়াত শিল্পীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
 
উল্লেখ্য,  ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তি এবং  ইন্ডিয়া ‘আসিয়ান পর্যটন বর্ষ’ উদ্‌যাপনে অংশ নিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন গার্গ।

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হলেও পুলিশি তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ভক্ত ও অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— জুবিনের মৃত্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ভিডিও বা ছবি যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে না দেয়া হয়। তদন্তের শুরুর দিকেই অবশ্য নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিল সিঙ্গাপুর সরকার।

এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিঙ্গাপুর পুলিশ। সর্বশেষ সংগীতশিল্পী শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও গায়িকা অমৃত প্রভা মহন্তকে বুধবার আটক করা হয়। এর আগে জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসব আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চারজন এ মামলায় আটক হয়েছেন।
 
অন্যদিকে, আসাম পুলিশও তদন্ত চালাচ্ছে সমান্তরালভাবে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
 
জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যুতে ভক্ত-অনুরাগীদের শোক এখনো কাটেনি। শিল্পীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।