দেশে থাকলে আমাকে হাত পেতে চলতে হতো: আহমেদ শরীফ


বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ শরীফ এখন বেশিরভাগ সময়ই কাটান যুক্তরাষ্ট্রে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে। তবে সম্প্রতি দেশে এসে আবারও দেখা দিলেন এফডিসিতে। আজ রোববার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আয়োজিত বিশেষ দোয়া ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আহমেদ শরীফ বলেন, দেশে থাকলে তাঁকে আর্থিক সংকটে পড়তে হতো। তাঁর ভাষায়, “আমি যদি এখনো বাংলাদেশেই থাকতাম, হয়তো হাত পাততে হতো। কারো কাছে গিয়ে টাকা চাইতে হতো। বলতে হতো, বাড়িতে খাবার নেই, চলার জন্য অর্থ দরকার।”
সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে, যা পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ। সেখানে তাঁর অভিনয় প্রশংসিতও হয়। এরপর দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকার চিকিৎসা অনুদান পেয়েছিলেন আহমেদ শরীফ ও তাঁর স্ত্রী। সেই সময় থেকেই ধীরে ধীরে অভিনয়ের জগত থেকে সরে যান তিনি। আজকের অনুষ্ঠানে এসে জানালেন, আর্থিক নিরাপত্তার অভাবেই দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে হয়েছে তাঁকে।
তিনি বলেন, “আজকাল শিল্পীরা শুধু সিনেমায় নয়, টেলিভিশন নাটকেও কাজ করতে গিয়ে টিকে থাকতে পারছেন না। অনেকেই বাধ্য হয়ে ভিন্ন পেশায় যাচ্ছেন, অনেকে দেশ ছেড়েছেন। কারণ একটাই—এই পেশায় অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নেই।”
শেষে আহমেদ শরীফ দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই শিল্পীরা ভালো থাকুক। দেশে যদি কখনো ফিরি, সরকারের কাছে দাবি জানাব—শিল্পীদের জন্য যেন নিশ্চিত ব্যবস্থা থাকে। এটি একান্ত প্রয়োজন।”
অনুষ্ঠান শেষে শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক গুণী শিল্পী ও কলাকুশলী।