রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি হলেন যারা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি হলেন যারা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাগ্রোনোমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদ ফয়সাল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুরে তাদের নিজস্ব ওয়েলফেয়ার ভবনে অনুষ্ঠিত সদস্য সমাবেশে এ কমিটি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, স্কুল সম্পাদক সিদ্দিক হোসেন, এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম ও রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল মোহাইমিন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাবি শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বাসা নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নে। বর্তমানে তার মাস্টার্সের দ্বিতীয় সেমিস্টার চলমান রয়েছে।

সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সালের বাসা গাইবান্ধা জেলায়। তিনি এর আগে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে রাবি শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত নববর্ষ প্রকাশনা উৎসবে আসেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এ সময় শিবির সভাপতি বলেন, আজকে আমার এই প্রকাশনা উৎসব খুবই ভালো লাগছে। শিক্ষার্থীরাও উৎসবকে খুব ভালোভাবে নিয়েছেন। ছাত্রশিবির গতানুগতিক কোনও সংগঠন নয়। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার ওপর ভিত্তি করেই ছাত্রশিবির সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ছাত্রশিবিরের যেই তিন পাতা ক্যালেন্ডার দেখছেন, তা অল্প সময়ে আমরা গবেষণাধর্মী ক্যালেন্ডার তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

রাবিতে চলমান পোষ্য কোটা ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোটা আন্দোলন হচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা অবগত এবং আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দায়িত্বশীল ও প্রশাসনসহ সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, আমরা যাতে টেবিলে বসতে পারি। আমাদের যেটা রাজনীতি আছে, সেটার সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, আমরা টেবিলে বসতে পারি না। আমরা খালি বাইরে কমেন্ট ও বক্তব্য করে বেড়াই। আমরা যদি এই সংস্কৃতি থেকে বেরোতে পারি, তাহলে আমরা শুধু পোষ্য কোটা নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির যেকোনও ইস্যুতে সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।