৩ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা 

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
৩ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা 
ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে শাহবাগ ব্লকেড (অবরোধ) কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। একইসঙ্গে তারা আগামীকালের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে যাত্রা করেছেন।বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ব্লকেড করেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এই অবরোধ ভেঙে বিকাল পৌনে ৫টায় ফের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, আজকের মধ্যে শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন না দেওয়া হলে আগামীকাল দুপুর ১২টায় 'মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচি পালন করবেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। একইসঙ্গে আগামীকাল দাখিল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার পরীক্ষা ও ক্লাস বন্ধ থাকবে। 

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকদের নিয়ে অবস্থান ত্যাগ করেন।

দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছি। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে হাতাহাতি করবো না। এই আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের আবেগ, শ্রম, ঘাম জড়িত। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন নষ্ট হয়, এমন কোনো কাজ আমরা করবো না। আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেই আমাদের আন্দোলন সফল করবো।

এর আগে বুধবার দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ ব্লকেড করেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে তারা শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই অবরোধে শাহবাগ মোড়ের চারপাশ কয়েক ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। গতকাল সচিবালয়ে মার্চ টু সচিবালয় করা হয়।

শিক্ষকরা বলেন, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।

এর আগে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।