অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে ৭.৪৩ শতাংশ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪৭ এএম
অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে ৭.৪৩ শতাংশ

২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশের রপ্তানি আয় ৭.৪৩ শতাংশ কমে ৩.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৪.১৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কম। তবে তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল দেশের রপ্তানি আয় ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে সামান্য ২.২২ শতাংশ বেড়ে ১৬.১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ১৫.৮ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানিকারকরা জানাচ্ছেন, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ছিল দুর্বল মৌসুম। ক্রেতাদের অর্ডার কমে যাওয়ায় ও ইউডি আবেদন কম হওয়ার কারণে রপ্তানি আয়ও প্রভাবিত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক এবং ইউরোপীয় বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিও রপ্তানি আয় কমানোর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয় জুলাই-অক্টোবর সময়ে ১২.৯ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১২.৮১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় মাত্র ১.৪ শতাংশ বৃদ্ধি। অক্টোবর মাসে এককভাবে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৮.৩৯ শতাংশ কম।

আরএমজি খাতের দুই উপখাত—ওভেন ও নিটওয়্যার অক্টোবরে যথাক্রমে ১০ শতাংশের বেশি ও ৫ শতাংশের বেশি রপ্তানি আয় হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে। তবে জুলাই-অক্টোবরের প্রথম চার মাসে নিটওয়্যারের রপ্তানি সামান্য ০.৪২ শতাংশ বেড়ে ৭.২৩ বিলিয়ন ডলারে, আর বোনা পোশাকের রপ্তানি ২.৬৬ শতাংশ বেড়ে ৫.৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

অন্যান্য খাতের মধ্যে হোম টেক্সটাইল পণ্য খাতের রপ্তানি ৯.৪৭ শতাংশ বেড়ে ২৭৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের ২৫৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি। কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি আয় ১.৭২ শতাংশ কমে ৩৭৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়ে ১১.০৮ শতাংশ, ৪১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের রপ্তানি ৩৪.৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ মিলিয়ন ডলার, আর পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ৪.৭৪ শতাংশ বেড়ে ২৭৭ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

যদিও জুলাই-অক্টোবর সময়ে দেশের প্রধান রপ্তানি খাতগুলোর সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও, অক্টোবর মাসে অধিকাংশ পণ্যের রপ্তানি আয়ে পতন ঘটেছে। ইপিবি মনে করিয়ে দিয়েছে, বছরওয়ারি পতনের পরও ধারাবাহিক মাসিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রধান খাতগুলোর ইতিবাচক পারফরম্যান্স বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের স্থিতিস্থাপকতা এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রমাণ করছে।