ঢাকার পুঁজিবাজারে বড় উত্থান, সূচক প্রায় ৫ হাজার পয়েন্ট


ঢাকার পুঁজিবাজারে টানা উত্থানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৯৭৬ পয়েন্ট। উত্থান অব্যাহত থাকলে বিগত কয়েক মাসের টানা পতনে ৫ হাজারের নিচে নেমে যাওয়া সূচক আবারও আগের অবস্থানে উঠে আসতে পারে দুই একদিনের মধ্যে।
সারাদিনের লেনদেন বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১৫ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ২৭৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির ২১৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭২ কোম্পানির, কমেছে ২৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ২৩ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে মোট ৫৭৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে রূপালি ব্যাংক এবং ৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে রেনউইক কোম্পানি লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতোই বড় উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৮৪ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২২৮ কোম্পানির মধ্যে ১৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২১ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামে শীর্ষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে সামাতা লেদার কমপ্লেক্স।