বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কাজ চলছে: গভর্নর

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০১ পিএম
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কাজ চলছে: গভর্নর

শুধু চট্টগ্রামের একটি বড় গ্রুপ সোয়া কোটি টাকা পাচার করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘গত সরকারের ১৫ বছরে দেশে কয়েকটি পরিবার ও গোষ্ঠী আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা টাকা পাচার করেছে। আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সেসব সম্পদ জব্দ করাই সরকারের লক্ষ্য।’

তিনি বলেছেন, ‘সে জন্য বিদেশে সম্পদ অনুসন্ধানকারী সংস্থা ও আইনশৃঙখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে সরকার। তবে সম্পদ ফিরিয়ে আনার কাজ বেশ জটিল, সেক্ষেত্রে এক বছরও সময় লাগতে পারে।’

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কার্যক্রম ও সমসাময়িক ব্যাংকিং’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর বলেন, ‘বর্তমানে বিদেশি সংস্থাগুলো পাচার হওয়া সম্পদ অনুসন্ধান ও নিরূপণ করছে। কারা, কোথায় ও কীভাবে সম্পদ জমা করেছে—তার তালিকা করা হচ্ছে।’

এ সময় রেমিট্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে র‌েমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ। রপ্তানি বাড়ছে, রিজার্ভও জমা হয়েছে চার মাসের। সার্বিক আর্থিক খাত নিয়ে আমরা স্বস্তির মধ্যে আছি। শুধুমাত্র মূল্যস্ফিতি এখনও কাঙ্খিত পর্যায়ে নামেনি, তবে আগামীতে তা আরও কমবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে টাকা পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার চাইতে অর্থ পাচার বন্ধ করা জরুরি। সে জন্য প্রয়োজনে আইন সংস্কার করবে সরকার।’

বিদেশে টাকা পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত কিনা কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মসংস্থা তদন্ত করলে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে কেটে নেওয়ার বিষয়টি তুললে গভর্নর বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে অনিয়ম-দুর্নীতি অনেকভাবে হয়েছে। সব অনিয়মের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। কোনো ব্যাংক বেআইনিভাবে কর্মকর্তাদের টাকা কেটে নিলে তারও তদন্ত করা হবে।’

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।