সেন্টমার্টিনে বর্জ্য থেকে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
সেন্টমার্টিনে বর্জ্য থেকে হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ
ছবি : সংগৃহীত

সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে খাবার পানি নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যদিয়ে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (প্লাজমা রিয়েক্টর) যুগেও প্রবেশ করতে যাচ্ছে দ্বীপটি। এটিএম কার্ডের আদলে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ইচ্ছামতো নেওয়া যাবে খাবার পানি। সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিশ্ব ব্যাংকের অনুদানে বিশেষ এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপে বর্তমানে বসবাসরত এক হাজার ৭০০ পরিবারের আট হাজার মানুষের প্রতিদিন চার টন পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য হচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে পর্যটন মৌসুমের তিন মাসে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটকের চার হাজার প্লাস্টিকের বোতল, চিপসহ অন্যান্য প্লাস্টিক-পলিথিনের প্যাকেটজাত নিত্যপণ্যের বর্জ্যও। এ কারণে দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংকটে পড়েছে। তাই দ্বীপের সার্বিক পরিবেশ ঠিক রাখতে পয়োবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি দুই ভাগ করে টেন্ডারের মাধ্যমে টার্ন বিল্ডার্স, গ্রিন ডট লিমিটেড ও ওয়াটার বার্ডস লিমিটেড নামের তিনটি ঠিাকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর বলেন, প্রকল্পের আওতায় বৃষ্টি, মাটির গভীরের ও উপরের পানি পরিশোধন করে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের সরবরাহ করা হবে। এতে দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার বন্ধ রাখা সম্ভব হবে। সেখানে নির্মাণ করা হবে ইট, সিমেন্ট ও লোহার রড ছাড়া পরিবেশবান্ধব অপারেশন বিল্ডিং ও আন্তর্জাতিক মানের দুটি পাবলিক টয়লেট। এ ছাড়াও মানব বর্জ্য, মেডিকেল, কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য মিলে থাকবে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এর আগে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে চালু করে সফলতা আসে। প্রকল্পটি আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। 

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিনের সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যেতে পারবেন, তবে রাতে থাকতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি দুই মাস পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ ও সেখানে রাত যাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে পর্যটকের সংখ্যা দৈনিক দুই হাজার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকবে।